Supreme Court: অল্প বয়স থেকেই পাঠক্রমে যৌন শিক্ষা অন্তর্গত করা উচিত, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
SC on Physical Education: গত ১০ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতের তরফে ওই নাবালক অভিযুক্তকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় উল্লেখ করা হয়েছিল যে অভিযুক্তের বয়স মাত্র ১৫ বছর। উত্তর প্রদেশ সরকারকে অতিরিক্ত একটি হলফনামা জমা করতে বলা হয়।

নয়া দিল্লি: শুধুমাত্র নবম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি নয়, স্কুলের পাঠক্রমে সেক্স এডুকেশন আরও কম বয়স থেকেই যোগ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার, ৮ অক্টোবর এ কথাই বলল।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চে একটি ধর্ষণ মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল। অভিযুক্ত নিজেও নাবালক, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারায় মামলা করা হয়েছিল। এছাড়া পকসো আইনেও মামলা রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ রাখে, “আমাদের মতে যৌনতার শিক্ষা বা সেক্স এডুকেশন অল্প বয়স থেকেই দেওয়া উচিত, নবম শ্রেণি থেকে নয়।”
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতের তরফে ওই নাবালক অভিযুক্তকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় উল্লেখ করা হয়েছিল যে অভিযুক্তের বয়স মাত্র ১৫ বছর। উত্তর প্রদেশ সরকারকে অতিরিক্ত একটি হলফনামা জমা করতে বলা হয়। আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল যে উত্তর প্রদেশ সরকারের অধীনে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে যৌন শিক্ষা কীভাবে, কতটা রয়েছে, যাতে বয়ঃসন্ধিকালে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা হরমোনের পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এর প্রভাবে কী কী হতে পারে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই উত্তর প্রদেশ সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল যে তাদের স্কুলের পাঠক্রমে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে যৌন শিক্ষা রয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের নির্দেশ অনুযায়ীই এই পাঠক্রম তৈরি।
তবে এই পাঠক্রম দেখে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার আদালত বলে যে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, আরও অল্প বয়স থেকে যৌন শিক্ষা পাঠক্রমের অংশ করা উচিত। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের উপরেই ছাড়া হয়েছে।
