Security Force Rule: ফেসবুক-ইন্সটায় বন্ধুত্ব নয়, করা যাবে না ইউনিফর্মে ছবি-ভিডিয়ো আপলোড! হানি ট্রাপের হাতছানি এড়াতে কড়া নির্দেশ

Honey Trap: সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও আধিকারিক যেন ইউনিফর্ম পরে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড, পোস্ট না করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অচেনা কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব না করেন।

Security Force Rule: ফেসবুক-ইন্সটায় বন্ধুত্ব নয়, করা যাবে না ইউনিফর্মে ছবি-ভিডিয়ো আপলোড! হানি ট্রাপের হাতছানি এড়াতে কড়া নির্দেশ
অলঙ্করণ: শুভ্রনীল দে।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2023 | 4:03 PM

নয়া দিল্লি: শরীরী হাতছানি, আর তার ফাঁদে পা দিয়েই ফেঁসে যাচ্ছেন সেনাকর্মী (Army) থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Force) শীর্ষ আধিকারিকরা। তাদের ব্ল্যাকমেইল (Blackmail) করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য। ‘হানি ট্রাপে’র (Honey Trap) ফাঁদ থেকে কেন্দ্রীয়  আধিকারিকদের বাঁচাতেই এবার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হল অনলাইনে কোনও রকমের বন্ধুত্ব যেন না পাতান। এছাড়াও ইউনিফর্ম পড়ে সোশ্যাল মাধ্য়মে ছবি আপলোড বা সাজেশনে আসা কোনও প্রোফাইলে যেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠান, তার কথাও বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, হানি ট্রাপের ফাঁদ বা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্যকলাপ এড়িয়ে চলতে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকরাই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন। স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও চ্যাট করেও বিপদ ডেকে আনছেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকেই এবার বিরত থাকতে বলা হল আধিকারিকদের।

জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, প্য়ারামিলিটারি ও পুলিশ বাহিনীকেও এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে সিআরপিএফ আধিকারিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউনিফর্ম পরে ছবি-ভিডিয়ো আপলোড করছেন এবং অচেনা কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে এই ধরনের সমস্ত কার্যকলাপ থেকে যেন বিরত থাকেন আধিকারিকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন কড়া নির্দেশিকা মেনে চলেন।

সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও আধিকারিক যেন ইউনিফর্ম পরে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড, পোস্ট না করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অচেনা কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব না করেন।

একইভাবে, দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরাও চিঠি লিখে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অপরাধী, অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নিয়ে পোস্ট বা কমেন্ট না করেন এবং গোপনীয় তথ্য ভাগ না করেন। কড়া নিরাপত্তা বা সংরক্ষিত এলাকা থেকে পুলিশ যেন কোনও ভিডিয়ো পোস্ট না করেন। ডিউটি চলাকালীন পুলিশকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিএসএফ ও আইটিবিপির তরফেও বাহিনীকে এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই একটি হানি ট্রাপের খবর আসে। বিশাখাপত্তনমের স্টিল প্ল্যান্টে কর্মরত সিআইএসএফ কর্মী পাকিস্তানের এক মহিলা গোয়েন্দা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পরে তদন্তে জানা যায়, বন্ধুত্বের ফাঁদে পা দিয়েই পাকিস্তানি ওই মহিলার কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন।

এদিন পাক গুপ্তচর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধৃতের মোবাইলেও দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত  গোপন ছবি ও ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।