হাজার টাকা ভাতা ও বিনামূল্যে রেশন, করোনা যুদ্ধে আর্থিক সহায়তায় ৫৭৯ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা ত্রিপুরা সরকারের
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) জানান, খেরেঙ্গবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হাসপাতালে পরিণত করার জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
আগরতলা: করোনাকালে সাধারণ মানুষের আর্থিক সহায়তার জন্য ৫৭৯ কোটির ত্রাণ প্রকল্পের (Relief Package) ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার (Tripura Government)। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামোন্নয়নের অধীনে কর্মসংস্থান ও রাজ্যের গরিব মানুষদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা উপজাতি অধ্যুষিত স্বশাসিত জেলা পরিষদ (Tripura Tribal Areas autonomous District Council)-র প্রধান দফতর খুমলিংয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় পড়েছেন। সেই কারণেই এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীনে রাজ্যে ৩৩২ কোটির কর্ম সংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও সাত লক্ষ পরিবারকে এককালীন এক হাজার টাকা ও রেশন দেওয়া হবে।”
তিনি জানান, ৭০ লক্ষ পরিবারে সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হবে। এছাড়াও রেশন দেওয়ার জন্য খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের তরফে প্রবীণ ও বিধবাদের মিলিয়ে মোট চার লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে দুই মাসের অগ্রিম সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে। ত্রিপুরা শহরাঞ্চল কর্মসংস্থান প্রকল্পের জন্য ২৪ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
ত্রিপুরা উপজাতি অধ্যুষিত স্বশাসিত জেলা পরিষদ খেরেঙ্গবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হাসপাতালে পরিণত করার জন্য রাজ্যের কাছে ২৮ কোটি টাকা চেয়েছিল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত দিক বিবেচনা করে রাজ্য বাজেট থেকে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য। তিনি জানান, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১৫০ শয্যার অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে।
আরও পড়ুন: আটকে গেল চোকসির প্রত্যাবর্তন, ডমিনিকা আদালতে মারধরের অভিযোগ আইনজীবীদের