Digital India: ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার অনুমোদন মোদী মন্ত্রিসভার
Expansion of Digital India: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের প্রসারণের ফলে ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতির ব্যবহার আরও বাড়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাগুলি প্রদান সহজতর হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, দেশের আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম তৈরির কাজেও গতি আসবে।
নয়া দিল্লি: নাগরিকদের ডিজিটাল পরিষেবা দানের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১ জুলাই মোদী সরকার চালু করেছিল ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্প। গত সাত বছরে এই প্রকল্প দারুণ সাফল্য় পেয়েছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এই প্রকল্পের গুরুত্ব মর্মে মর্মে অনুভব করেছেন ভারতীয় নাগরিকরা। বুধবার (১৬ অগস্ট), এই প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য ১৪,৯০৩ কোটি টাকা অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের প্রসারণের ফলে ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতির ব্যবহার আরও বাড়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাগুলি প্রদান সহজতর হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, দেশের আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম তৈরির কাজেও গতি আসবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণে কী কী লাভ হতে চলেছে দেশের –
– ‘ফিউচারস্কিলস প্রাইম প্রোগ্রামে’র আওতায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ৬.২৫ লক্ষ কর্মীর দক্ষতার উন্নয়নের জন্য নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া, তথ্য নিরাপত্তা ও শিক্ষা সচেতনতা (ISEA) প্রকল্পের আওতায় ২.৬৫ লক্ষ ব্যক্তিকে তথ্য সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
– বর্তমানে ইউনিফাইড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ফর নিউ-এজ গভর্নেন্স বা উমঙ্গ (UMANG) অ্যাপে ১৭০০টিরও বেশি পরিষেবা পাওয়া যায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের প্রসারণের ফলে, এই অ্যাপে আরও ৫৪০টি অতিরিক্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে।
– জাতীয় সুপার কম্পিউটার মিশনের আওতায় দেশে বর্তমানে ১৮টি সুপার কম্পিউটার রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে আরও আরও ৯টি সুপার কম্পিউটার যুক্ত করা হবে সরকারি পরিষেবা প্রদানের কাজে।
– কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ কর্মসূচিতে সাইবার সুরক্ষার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ১২ কোটি কলেজ পড়ুয়াকে সাইবার-সচেতনতা কোর্স করানো হবে। পাশাপাশি, ন্যাশনাল সাইবার কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সঙ্গে ২০০টিরও বেশি ওয়েবসাইটকে যুক্ত করা হবে।
– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে ভারতের তৈরি অনুবাদের অ্যাপ ‘ভাষিনী’-তে বর্তমানে ১০টি ভারতীয় ভাষা অনুবাদ করা যায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অধীনে আরও ৮টি ভারতীয় ভাষা যুক্ত হবে এই অ্য়াপে।
– ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্কের অধীনে ১,৭৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ডিজিটাস ইন্ডিয়ায় সাম্প্রতিক সম্প্রসারণের ফলে এই নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে। এমএসএমই এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীক সংস্থাগুলি ডিজিলকরের অধীনে ডিজিটাল নথি যাচাই করানোর সুবিধা পাবে।
– টিয়ার ২ এবং টিয়ার ৩ শহরগুলির মোট ১২০০টি স্টার্টআপ সংস্থাকে সহায়তা করবে কেন্দ্র। অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং টেকসই শহরের বিষয়ে তিনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।