Anurag Thakur: ‘মণিপুরে হিংসার বীজ বুনেছে কংগ্রেসই’, রাহুলকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, উঠল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ প্রসঙ্গও
Manipur Violence: রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য়ের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "কোনও ভারতীয় নাগরিক ভারতমাতার হত্যার কথা ভাবতে পারে? এটা তারাই ভাবতে পারে যারা টুকরে টুকরে গ্য়াংয়ের সদস্য।
নয়া দিল্লি: মণিপুর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের সমালোচনা করেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “মণিপুর জ্বলছে আর প্রধানমন্ত্রী হাসছেন”। রাহুলের এই মন্তব্য়ের এবার পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। তিনি বললেন, “মণিপুরে হিংসার বীজ বুনেছে কংগ্রেসই।”
শুক্রবার সংবাদসংস্থা এএনআই-র মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি অনাস্থা প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, মণিপুর ওঁর হৃদয়ের অংশ। দীর্ঘ সময় উনি মণিপুরে কাটিয়েছেন। মণিপুরের হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মহিলাদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়েও সরব হয়েছেন। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে এবং আগামিদিনেও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সংসদে মণিপুর নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি নিজে মণিপুরে গিয়েছেন, সেখানে ৪ দিন থেকেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও মণিপুরে ২৪ দিন ছিলেন। এই প্রথমবার ভারতে হয়েছে যে স্বরাষ্টমন্ত্রী মণিপুরে ৪ দিন থেকেছেন। সমস্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেন। সংসদে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তিনি শান্তি প্রস্তাবও এনেছেন।”
#WATCH | Union Minister Anurag Thakur says, “Only supporters of ‘Tukde-Tukde’ gang can think of dividing, killing ‘Bharat Mata’. They are not concerned about the women of Manipur. They talk about the murder of Constitution, Bharat Mata. Rahul Gandhi is not worried about the women… pic.twitter.com/xM7qNwZDD7
— ANI (@ANI) August 11, 2023
এরপরই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু কংগ্রেস সংসদেও অশান্তির সৃষ্টি করেছে আর মণিপুরেও। রাহুল গান্ধী যখন সংসদে কথা বলতে পারেননি, তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে একই কথা বলেছেন। খারাপ শব্দ ব্যবহার, অপশব্দ কংগ্রেসের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এদের এত অহংকার, তাই অহংকারীদের জোট তৈরি হয়েছে।”
রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য়ের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কোনও ভারতীয় নাগরিক ভারতমাতার হত্যার কথা ভাবতে পারে? এটা তারাই ভাবতে পারে যারা টুকরে টুকরে গ্য়াংয়ের সদস্য। মধ্য রাতে এদের সমর্থন করে আর পরে এদের নিজেদের দলের সদস্য করে। এখন ওদের বড় বড় দায়িত্ব দিয়েছে। এদের মণিপুর নিয়ে চিন্তা নেই। কীভাবে সংবাদের শিরোনামে থাকা যায়, তা নিয়ে চিন্তা। কত খারাপ কথা বলা যায়, যাতে খবরের শিরোনামে থাকতে পারবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা।”
कांग्रेस राज में नॉर्थ ईस्ट बम, बंद और ब्लास्ट के लिए जाना जाता था। कांग्रेस का खूनी पंजा नॉर्थ ईस्ट के हज़ारों लोगों के खून से रंगा है।
सत्ता के लिए बिन पानी मछली जैसा तड़प रहे हैं राहुल गांधी। pic.twitter.com/M2EV9RyCZg
— Anurag Thakur (@ianuragthakur) August 11, 2023
তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধীজি ভারতমাতার মৃত্য়ুর কামনা করেন। এরা গণতন্ত্র, সংবিধানের হত্যার কামনা করে। দেশের বাইরেই হোক বা ভিতরে, দেশকে বদনাম করতে চান। রাহুলজি আপনি সংসদে তো ১০ মিনিটও থাকেন না। আসেন, ভাষণ দিয়ে চলে যান। কই, ভিলওয়াড়ায় তো গেলেন না? রাজস্থানের মহিলাদের নিয়ে কি আপনার কোনও চিন্তা নেই? মণিপুরের সঙ্গে রাজস্থানের ভেদাভেদ করেন, বাংলা-বিহারের সঙ্গে মণিপুরের ভেদাভেদ করেন।”
#WATCH | Union Minister Anurag Thakur says, “Who sowed the seeds of hatred in Manipur? It was sown by Congress. During Congress rule, Northeast was known for ‘Bomb, Bandh and Blast’. Your policy was ‘Look East’ but PM Modi started ‘Act East’ policy… Govt of India is taking all… pic.twitter.com/907lbI4mkz
— ANI (@ANI) August 11, 2023
“মণিপুরে যদি কেউ হিংসার বীজ বুনে থাকে, তাহলে তা রাহুল গান্ধীর পরিবার ও দল বুনেছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতে আজ যে ঘৃণা দেখা যায়, তা নেহেরু-গান্ধী পরিবারের দেওয়া। সংসদে যখন এরা জবাব দিতে পারেনি যে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কীভাবে নেহেরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সনিয়াজি, মনমোহনজি, রাহুল গান্ধী-এরা সকলে উত্তর-পূর্ব ভারতকে জ্বলন্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছিল। রাহুল গান্ধী জবাব দিন।”, কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে এমনটাই বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।