India’s Linguistic Heritage: বাড়ল সরকারি ভাষা! সাংস্কৃতিক মর্যাদা রক্ষায় বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
India’s Linguistic Heritage: রাজনীতি-ইতিহাস-সমাজনীতির অন্যতম অঙ্গ ভাষা। স্বাধীনতারও আরেক রূপ এই ভাষা। ভাষার জন্য স্বাধীনতার লড়াই লড়েছিল আমাদের পড়শি দেশ। ভাষার ভিত্তিতে স্বাধীনতার পর ভাগ হয়েছিল ভারতের একাধিক রাজ্য। ভাষা রাজনীতিতেই আজও ভুরিভুরি ভোট পড়ে নেতাদের পকেটে। সেই ভাষার গুরুত্ব বুঝেই তার মর্যাদা বজায় রাখা প্রতিজ্ঞা নিল কেন্দ্র সরকার।
নয়াদিল্লি: ভাষাতেই রাজনীতি। ভাষা গড়ে দেশ। সেই ভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে তৎপর কেন্দ্র। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক থেকে ভাষা মর্যাদার প্রসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন কয়লা ও খনিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানান, ‘দেশের ভাষা মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে তৎপর কেন্দ্র।’
রাজনীতি-ইতিহাস-সমাজনীতির অন্যতম অঙ্গ ভাষা। স্বাধীনতারও আরেক রূপ এই ভাষা। ভাষার জন্য স্বাধীনতার লড়াই লড়েছিল আমাদের পড়শি দেশ। ভাষার ভিত্তিতে স্বাধীনতার পর ভাগ হয়েছিল ভারতের একাধিক রাজ্য। ভাষা রাজনীতিতেই আজও ভুরিভুরি ভোট পড়ে নেতাদের পকেটে। সেই ভাষার গুরুত্ব বুঝেই তার মর্যাদা বজায় রাখা প্রতিজ্ঞা নিল কেন্দ্র সরকার।
সম্প্রতি একাধিক ভাষাকে ধ্রপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও। তবে শুধুই বাংলা নয়, তার সঙ্গে মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়াকেও ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এদিন আবার ভাষাগত মর্যাদার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংযোজন, সংবিধানে অষ্টম তফসিলে ভারতের একাধিক ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে সেই তফসিলে রয়েছে মোট ১৪টি ভাষা। অবশ্য, খুব শীঘ্রই সেখানে আরও কিছু ভাষাকে যুক্ত করে মোট ২২টি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, ভাষা নিয়ে রাজনীতির লড়াই যে আগাগোড়াই, তার সবচেয়ে নতুন প্রমাণ দেখা যায় যখন ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা। এই প্রসঙ্গে তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা দিয়েছে। কিন্তু, বাংলা ভাষাকে কোনও কালেই সেই মর্যাদা দেয়নি তারা। আড়াই হাজার বছর পুরনো এই ভাষা, এটা মোটেই রসিকতা নয়। অবশ্য, বাংলা, মারাঠির আগে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয় কেন্দ্র।