AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Devadula Lift Irrigation, MEIL: গোদাবরীর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি দেবাদুলা সেচ প্রকল্পের, জল নামলেই কাজ সম্পন্ন হবে জানাল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং

MEIL: আগামী এক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্যার জেরে সেই সময়সীমা বেশ খানিকটা পিছিয়ে যাবে।

Devadula Lift Irrigation, MEIL: গোদাবরীর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি দেবাদুলা সেচ প্রকল্পের, জল নামলেই কাজ সম্পন্ন হবে জানাল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং
বন্যার জল টানেলে ঢুকে বন্ধ হয়েছে কাজ
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2022 | 1:25 PM
Share

হায়দরাবাদ: গোদাবরী নদীর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দেবাদুলা লিফ্ট সেচ প্রকল্পের কাজের। বর্ষা আসতে না আসতেই গোদাবরীর জল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তেলাঙ্গানার বেশ কয়েকটি জেলা। এর জেরেই ওই সেচ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজের ক্ষতি হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজের জন্য টানেলে, পাম্প হাউস গুলিও জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও দেরি হবে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা। এই প্রকল্পের নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের।

গোদাবরীর বন্যায় দেবাদুলা প্রকল্পের রামাপ্পা ট্যাঙ্ক জলে পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। মুলুগু জেলা থেকে হানমাকোন্ডা জেলার ধর্মসাগরকে সংযোগ করছে এই ট্যাঙ্ক। কিন্তু বন্যার জলে অবরুদ্ধ হয়েছে সেই ট্যাঙ্ক। পাশাপাশি প্রকল্পের অনেক টানেলেও চলে গিয়েছে জলের তলায়। এর মধ্যে রয়েছে মাটির তলায় থাকা ৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলও।

আগামী এক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্যার জেরে সেই সময়সীমা বেশ খানিকটা পিছিয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ফের কবে পুরোদমে কাজ শুরু করা যাবে তা নিয়েও দ্বিধায় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা।

এই প্রকল্পে কাজ করছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (এমইআইএল)। এশিয়ার বৃহত্তম টানেল তাদেরই তৈরি। দেবাদুলা প্রকল্পের ৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই টানেল মুলুগু জেলার জাকারাম থেকে হানমাকোন্ডা জেলার দেবান্নাপেট পর্যন্ত বিস্তৃত। এই টানেল দিয়েই জল দেবান্নাপেটের সার্জ পুলে যাবে। তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছিল সেই টানেলে। কিন্তু বন্যার জল ঢুকে টানেলের কাজ বন্ধ তো হয়েইছে। পাশাপাশি সেখানে বসানো বিভিন্ন মেশিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেবান্নাপেটে যে পাম্প হাউস বানানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটিও। প্রচুর পাম্প রয়েছে সেখানে। যে গুলির প্রত্যেকটি ৩১ মেগা ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। সেই পাম্পগুলিরও ক্ষতি হয়েছে বন্যার জল ঢুকে।