AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Live in Relationship: লিভ-ইন সঙ্গীর ঠাঁই হল ব্যাগে, নদীতে ফেলার আগে হাসিমুখে প্রেমিক তুলল সেলফিও!

UP Crime: যখন বুঝতে পারে প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে, তখন আশীষ কুমার নামক এক বন্ধুকে ফোন করে ডাকে সূরজ। দুই বন্ধু মিলে আকাক্ষ্মার দেহ একটি ব্য়াগে ভরে এবং তা বাইকে করে নিয়ে ১০০ কিলোমিটার দূরে বান্দায় ফেলে দিতে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল যমুনা নদীতে আকাক্ষ্মার দেহ ফেলে দেওয়ার। দুই বন্ধু মিলে ব্যাগের সঙ্গে সেলফিও তোলে! 

Live in Relationship: লিভ-ইন সঙ্গীর ঠাঁই হল ব্যাগে, নদীতে ফেলার আগে হাসিমুখে প্রেমিক তুলল সেলফিও!
লিভ ইন সঙ্গীকে খুন যুবকের।Image Credit: X
| Updated on: Sep 22, 2025 | 7:39 AM
Share

লখনউ: ইন্সটাগ্রামে শুরু হয়েছিল প্রেম, তার পরিণতি হল খুনে। আরেকটি খুন। ফের নিশানায় লিভ ইন সঙ্গী। প্রেমিকার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, শুধুমাত্র এই সন্দেহেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করল প্রেমিক। তার দেহ ব্যাগে ভরে, সেলফিও তুলল অভিযুক্ত।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। আকাক্ষ্মা (২০) ও সূরজ কুমার উত্তম লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। সূরজ পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। দুই মাস আগে সূরজ জানতে পারে, আকাক্ষ্মা অন্য এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলছে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল বচসা, অশান্তি হয়। ঝগড়ার মাঝে সূরজ আকাক্ষ্মার মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয়। এরপর তাঁর গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

যখন বুঝতে পারে প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে, তখন আশীষ কুমার নামক এক বন্ধুকে ফোন করে ডাকে সূরজ। দুই বন্ধু মিলে আকাক্ষ্মার দেহ একটি ব্য়াগে ভরে এবং তা বাইকে করে নিয়ে ১০০ কিলোমিটার দূরে বান্দায় ফেলে দিতে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল যমুনা নদীতে আকাক্ষ্মার দেহ ফেলে দেওয়ার। দুই বন্ধু মিলে ব্যাগের সঙ্গে সেলফিও তোলে!

এদিকে দীর্ঘদিন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে, আকাক্ষ্মার মা গত ৮ অগস্ট পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি সূরজের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ আনেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সূরজ ও তাঁর বন্ধুকে হেফাজতে নেয়। জেরা করার পরই খুন এবং তার পরের সব ঘটনা সামনে চলে আসে। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও, চাপের মুখে সূরজ স্বীকার করে নেয় যে গত ২১ জুলাই প্রেমিকাকে বচসার সময় সে খুন করে। দুই অভিযুক্তই বর্তমানে জেলে। এখনও তদন্ত চলছে।