Kanwar Yatra: শিবের মাথায় জল ঢালতে কানওয়ার যাত্রায় উত্তর প্রদেশের মুসলিম ব্যক্তি

Muslim Man: ৪২ বছরের ওয়াকিল মালিক। উত্তর প্রদেশের শামলির ভাইনওয়াল গ্রামে বাড়ি তাঁর। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসা হলেও মালিক কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেন।

Kanwar Yatra: শিবের মাথায় জল ঢালতে কানওয়ার যাত্রায় উত্তর প্রদেশের মুসলিম ব্যক্তি
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 9:30 AM

শামলি: তিনি মুসলিম। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। নিয়মিত নমাজও পড়েন। কিন্তু শ্রাবণ মাসে কানওয়ার যাত্রায় অংশও নেন। নিজের গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে হরিদ্বারে গিয়ে জল ঢেলে আসেন শিবলিঙ্গের মাথায়।  ধর্ম যাই হোক। ঈশ্বরই একটাই। এই বার্তা দিতেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

৪২ বছরের ওয়াকিল মালিক। উত্তর প্রদেশের শামলির ভাইনওয়াল গ্রামে বাড়ি তাঁর। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসা হলেও মালিক কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেন।  এ বছরও তিনি অংশ নিচ্ছেন কানওয়ার যাত্রায়। এ নিয়ে মোট ৬ বার কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেবেন তিনি। এবং পায়ে হেঁটে হরিদ্বার গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালবেন। কানওয়ার যাত্রা নিয়ে ওয়াকিল বলেছেন, “কানওয়ার যাত্রার জন্য আমি জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি। কোনও বাধার সম্মুখীন যাতে না হতে হয়, সে জন্যই প্রশাসনকে জানিয়েছি আমি।” কানওয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়েও জানিয়েছেন ওয়াকিল। তিনি বলেছেন, “আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। নিয়মিত নমাজ পড়ি। ঈশ্বর এক জনই। এ কথা প্রমাণ করতেই আমি কানওয়ার যাত্রায় অংশ নিই। আমরা সাধারণ মানুষ ঈশ্বরের মধ্যে বিভেদ করি। কিন্তু তিনি এক জনই। আমার এই বার্তা যদি এক জনের কাছেও পৌঁছয় এবং তিনি সে রকম ভাবতে পারেন। তাহলে আমার উদ্দেশ্য সার্থক হবে।”

ওয়াকিল এখনও অবধি পাঁচ বার কানওয়ার যাত্রা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এ বছর গেলে তাঁর মানসিক সম্পূর্ণ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও বাগপতে পুরা মহাদেব মন্দিরেও প্রতি বছর জল ঢালেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাঁছ বার কানওয়ার গেলেও প্রশাসনের কাছে কখনও অনুমতি নিতে যাননি তিনি। তবে এ বছর শামলি জেলা প্রশাসনের কাছে কানওয়ার যাত্রার জন্য অনুমতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই যাত্রায় যাওয়ায় পরিবার এবং নিজের সম্প্রদায়ের লোকের থেকে বাধা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “প্রথম প্রথম কানওয়ার যাওয়া নিয়ে বাধা পেতাম। আমার পরিবারের লোকেরাও আপত্তি জানাতেন। নিজের ধর্মে অসম্মান করছি বলে আমাকে বিদ্রুপ করত বন্ধুবান্ধবরা। কিন্তু পরে তাঁরা আমার ভাবনা বুঝতে পেরেছেন। এখনও আমাকে সমর্থনও করেন।”