AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral AI Trend Risk: শাড়ি পরা রেট্রো ছবি বানিয়ে দিচ্ছে গুগল, আপনার তথ্য সুরক্ষিত তো?

Google Nano Banana: এই ধরনের এআই ট্রেন্ডের মূল ঝুঁকি হল আপলোডেড ছবির অপব্যবহার। আপনার আপলোড করা ছবি ব্যবহার করে সহজেই ভুয়ো বা আপত্তিকর কনটেন্ট যকে ডিপফেক বলা হয়, তা তৈরি করা সম্ভব।

Viral AI Trend Risk: শাড়ি পরা রেট্রো ছবি বানিয়ে দিচ্ছে গুগল, আপনার তথ্য সুরক্ষিত তো?
Image Credit: https://gemini.google.com/app
| Updated on: Sep 15, 2025 | 1:14 PM
Share

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইন্সটাগ্রামে ইদানিং একটা নতুন ট্রেন্ড ভাইরাল হয়েছে। এআই ব্যবহার করে শাড়ি পরা ছবি তৈরি করছেন অনেকে। এই ছবি দেখে মনে হবে আটের বা নয়ের দশকের কোনও ছবি। এই ধরনের ছবিগুলো গুগলের ‘ন্যানো ব্যানানা’ এআই টুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই মজার ট্রেন্ডের আড়ালে প্রশ্ন উঠছে আপনার ব্যক্তিগত ছবির সুরক্ষা নিয়ে।

এই ধরনের এআই ট্রেন্ডের মূল ঝুঁকি হল আপলোডেড ছবির অপব্যবহার। আপনার আপলোড করা ছবি ব্যবহার করে সহজেই ভুয়ো বা আপত্তিকর কনটেন্ট যকে ডিপফেক বলা হয়, তা তৈরি করা সম্ভব।

গুগল জানাচ্ছে, তারা ছবিতে SynthID নামে একটি অদৃশ্য ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে ছবিটি এআই জেনারেটেড কি না, তা বোঝা সম্ভব। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওয়াটারমার্ক নকল করা বা মুছে ফেলা তেমন কঠিন নয়। আর কোনও ছবি আসল নাকি এআই জেনারেটেড তা যাচাই করার কোনও টুল সাধারণ মানুষের এখনও নেই।

তাহলে আপনি কী করবেন?

একদিকে ট্রেন্ডে গা ভাসানো অন্য দিকে নিজের তথ্যের সুরক্ষা। আপনি কোনটা বেছে নেবেন? কিন্তু সহজ কয়েকটি নিয়ম যদি আপনি মেনে চলেন, তাহলে ব্যালেন্স করে চলতে পারবেন। কোনও একটা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচলে থাকতে হবে না। কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে আপনাকে?

  • একান্ত ব্যক্তিগত বা অত্যন্ত সংবেদনশীল কোনও ছবি কখনও এআই টুলে আপলোড করবেন না।
  • ছবি আপলোড করার আগে ছবির লোকেশন ট্যাগ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য যাকে মেটা ডেটা বলে, তা ছবি থেকে মুছে দিন।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাইভেসি সেটিং সবসময় ‘স্ট্রিক্ট’ রাখুন। কারা আপনার ছবি দেখতে পাবে, তা নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • শর্তাবলী না পড়ে কোনও অ্যাপকে আপনার ছবি ব্যবহারের কোনও ধরনের অনুমতি দেবেন না।

মজা করা বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকা একমাত্র উপায় এমনটা নয়। কিন্তু দিনের শেষে আপনার ডিজিটাল সুরক্ষার দায়িত্ব আপনারই।