Rail-Waiting List: ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে ফের বড় নির্দেশ রেলের, ২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল
Rail-Waiting List: দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে বদলে গেল নিয়ম। রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কত সিটের ট্রেনে কত শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট হিসেবে থাকবে, তার নতুন করে তালিকা বের করা হল এবার।

নয়া দিল্লি: গত ২০ জুন ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছিল রেল। কনফার্মড টিকিট নিয়ে যেভাবে দালালদের বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করতে ক্যাপিং ব্যবস্থা চালু করেছিল রেল। ২৫ শতাংশের বেশি ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না, এমনটাই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক পরই সেই সিদ্ধান্তে বড় রদবদল। ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে আবারও বদলে গেল নিয়ম।
২৫ শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট হিসেবে রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হল রেলের তরফে। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে বদলে গেল নিয়ম। রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কত সিটের ট্রেনে কত শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট হিসেবে থাকবে, তার নতুন করে তালিকা বের করা হল এবার।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, যে কোনও মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ফার্স্ট এসিতে ১০০ শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট থাকবে।অর্থাৎ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোন ওয়ান টায়ার এসি কামরায় ১৮টি বার্থ থাকলে ওয়েটিং লিস্টে ১৮টি টিকিট ছাড়া হবে। সেকেন্ড এসি-তে ৬০ শতাংশ, থার্ড এসিতে ৬০ শতাংশ ও স্লিপার ক্লাসে ৪০ শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট থাকবে।
রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে নিয়ম একটু আলাদা থাকবে। সে ক্ষেত্রে ফার্স্ট এসি-তে ৬০ শতাংশ ও বাকি সব ক্লাসে ৪০ শতাংশ ওয়েটিং লিস্ট থাকবে।
২৫ শতাংশের ক্যাপিং হওয়ার পর বিষয়টা এরকম দাঁড়িয়েছিল, ১০০টি আসন থাকলে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ‘ওয়েটিং’ হিসেবে করে রাখা যেত। ধরা যাক, ১০০টি টিকিট শেষ হয়ে গেলে ২৫ শতাংশ থেকে ওয়েটিং দেখানো হচ্ছিল। টিকিট কাটার পর তা বাতিল (ক্যানসেল) হলে অতিরিক্ত যে ২৫টি ক্যাপ ওয়েটিংয়ে রাখা রয়েছে সেখান থেকে কনফার্ম টিকিট হয়ে যেত। জুন মাসের শেষের দিকে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এবার বদলে গেল সেই নিয়ম।
অতীতে ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিট কাটার কোনও সীমাবদ্ধ সংখ্যা ছিল না। জ়োন ভিত্তিক সেই সংখ্যা নির্ধারিত হত। কোথায় ৩০০, কোথাও আবার ৪৫০ পর্যন্তও ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিটের সংখ্যা যেত। সেই অবাধ ওয়েটিং লিস্টে টিকিট কাটা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর।
