AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maha Kumbh: নিজেদের আর ধরে রাখতে পারছেন না, পাকিস্তান থেকে দলে দলে পুণ্যার্থী এসে ডুব দিচ্ছে মহাকুম্ভে

India-Pakistan: কুম্ভে স্নান করে কী অনুভূতি হল? মাখেজা বলেন, "দারুণ এক অনুভূতি, বলে বর্ণনা করতে পারব না। আগামিকাল আমরা আবার পুণ্যস্নান করব। এখানে এসে সনাতন ধর্মের প্রতি গর্ব অনুভব হচ্ছে।"

Maha Kumbh: নিজেদের আর ধরে রাখতে পারছেন না, পাকিস্তান থেকে দলে দলে পুণ্যার্থী এসে ডুব দিচ্ছে মহাকুম্ভে
পাকিস্তান থেকে আগত পুণ্যার্থীদের স্নান।Image Credit: PTI
| Updated on: Feb 07, 2025 | 1:52 PM
Share

প্রয়াগরাজ: মহাকুম্ভে মহা মিলন। বাধা দিতে পারল না কাঁটাতারও, কুম্ভে স্নান করতে পাকিস্তান থেকে ছুটে এলেন পুণ্যার্থীরা। পাকিস্তান থেকে ৬৮ জন হিন্দু প্রয়াগরাজে এলেন সঙ্গমে স্নান করতে। গঙ্গায় ডুব দিয়ে তাঁরা পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে ৬৮ জন হিন্দু মহাকুম্ভে এসেছেন পুণ্যস্নান করতে। তাদের সঙ্গে ছিলেন মহন্ত রামনাথ। ৬৮ জনের ওই গ্রুপ পাকিস্তান থেকে প্রথমে হরিদ্বার দর্শনে যান। সেখানে তাদের ৪৮০ জন পূর্বপুরুষের অস্থি বিসর্জন করে, শেষকৃত্য করেন। এরপরে তারা মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করেন।

সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা গোবিন্দ রাম মাখেজা বলেন, “বিগত দুই-তিন মাস ধরে মহাকুম্ভের কথা শুনছিলাম আমরা, তখন থেকেই আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল এখানে আসার। আমরা নিজেদের আর ধরে রাখতে পারলাম না এখানে আসা থেকে।”

কুম্ভে স্নান করে কী অনুভূতি হল? মাখেজা বলেন, “দারুণ এক অনুভূতি, বলে বর্ণনা করতে পারব না। আগামিকাল আমরা আবার পুণ্যস্নান করব। এখানে এসে সনাতন ধর্মের প্রতি গর্ব অনুভব হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছরের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান থেকে ২৫০ জন এসেছিলেন প্রয়াগরাজে পুণ্যস্নান করতে। এবার সিন্ধের ঘোটকী, সুক্কুর, খইরপুর, শিকারপুর, কারকোট, যাতাবল থেকে হিন্দু পুণ্যার্থীরা এসেছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন এই প্রথম ভারতে এলেন।”

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুরভীও এসেছিলেন পুণ্যস্নান করতে। স্নানের পর সুরভী বলেন, “এই প্রথমবার আমি নিজের ধর্মকে বুঝতে পারছি। দারুণ লাগছে।”

গৃহবধূ প্রিয়ঙ্কাও পুণ্যস্নান করার পর বলেন, “এই প্রথম আমি ভারতে এলাম, তাও মহাকুম্ভে। নিজেদের সংস্কৃতি দেখে অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা মুসলিমদের মাঝে, কিন্তু আমাদের হিন্দুদের কোনও ভেদাভেদ, বিদ্বেষের শিকার হতে হয় না। ভারতে নিজেদের ঐতিহ্যকে দেখার সুযোগ এক অবীস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।”