Flyover and Overbridge: ওভারব্রিজ আর ফ্লাইওভারের তফাৎ কী বোঝেন? কোথায় তৈরি হয় কোনটা
Flyover and Overbridge: ফ্লাইওভার বা ওভারব্রিজ ছাড়াও থাকে ফুট ওভারব্রিজ। অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ত রাস্তায় পারাপার হতে সমস্যা হয় পথচারীদের। সেই রাস্তা পার হওয়ার জন্য বানানো হয় ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হয়।
নয়া দিল্লি: যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে ও যাতায়াতের সময় কমাতে সারা দেশে ফ্লাইওভার ও ওভারব্রিজ নির্মাণ করার কাজ চলছে। এগুলি তৈরি হলে ট্রেন বা অন্যান্য যানবাহন কোনও বাধা ছাড়াই চলাচল করতে পারে। বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে উড়ালপুল তৈরি না করা হলে ট্রাফিক ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই দেশ জুড়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক পরিকল্পনা। সেগুলি বাস্তবায়িতও করা হচ্ছে। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না ফ্লাইওভার আর ওভারব্রিজের মধ্যে তফাৎটা ঠিক কী?
ফ্লাইওভার কী?
যে সব রাস্তায় যানজট প্রবলভাবে হয়, সেগুলিতেই ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়। যে রাস্তা আছে, তার ওপর পিলার তৈরি করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয় ওই রুটের যানবাহন ও ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে। এগুলি এক বা দুই কিলোমিটার থেকে পাঁচ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার হল বেঙ্গালুরুর বিশ্বভার্যা ফ্লাইওভার, যার দৈর্ঘ্য ১১.৬ কিলোমিটার।
ওভারব্রিজ কী?
ওভারব্রিজও পিলার দিয়ে ওপরেই নির্মাণ করা হয়। তবে এগুলি এমন জায়গায় তৈরি করা হয় যেখানে রেললাইন এবং সাধারণ রাস্তা একে অপরকে অতিক্রম করছে। এ ক্ষেত্রে ট্রেনগুলি কোনও বাধা ছাড়াই চলতে পারে। এছাড়া পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্যও এগুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে এগুলোর দৈর্ঘ্য ফ্লাইওভারের তুলনায় কম হয় এবং খরচও কম হয়।
এছাড়াও থাকে ফুট ওভারব্রিজ। অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ত রাস্তায় পারাপার হতে সমস্যা হয় পথচারীদের। সেই রাস্তা পার হওয়ার জন্য বানানো হয় ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হয়।