নয়া দিল্লি: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে চলছিল মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার কাছে প্রায় হারতে বসেছিল বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান)-র বাহিনী। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল ওপার বাংলা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছিলেন ইন্দিরা, পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় সেনা। ভারতের সাহায্যেই একাত্তরের যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার নানা সাহসিকতার কাহিনি অনেকেরই জানা। তবে জানেন কি, এই যুদ্ধের সময়ে ভারতীয় নৌসেনা শতাধিক কন্ডোম অর্ডার করেছিল। কেন জানেন? নাহ যে কাজের জন্য কন্ডোম ব্যবহার করা হয়, সেই জন্য নয়। এই কন্ডোম কাজে লেগেছিল অন্যভাবে।
পাকিস্তানি সেনাকে কাবু করতেই কন্ডোম অর্ডার করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা ভারতীয় এয়ারবেসগুলির উপরে হামলা করছিল। চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ভারতীয় সেনার অন্যতম ঘাঁটি। সেখান থেকেই পাকিস্তানি জাহাজকে নিশানা করা হয়।
এই হামলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল লিমপেট মাইন। জাহাজের নীচে রেখে দেওয়া হত এই মাইন। সময়ে বিস্ফোরণ হত। তবে সমস্যা একটাই ছিল, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই এই মাইন ফেটে যেত। পাকিস্তানি জাহাজের নীচে মাইন লাগানো এবং বিস্ফোরণের আগে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়া, এত কাজ ৩০ মিনিটের মধ্যে করা সম্ভব ছিল না। এখানেই কাজে লাগে কন্ডোম।
লিমপেট মাইনগুলিকে ভরা হত কন্ডোমে। তারপর তা জাহাজের নীচে লাগিয়ে দেওয়া হত। এতে জল লেগে নষ্ট হয়ে যেত না মাইনগুলি। নির্দিষ্ট সময়েই মাইনগুলি ফাটত।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাকিস্তানি সেনার উপরে হামলা চালিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের জাহাজ ও সরবরাহ লাইন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।