Extra Marital Affair: অন্য মহিলার সঙ্গে মিলনের সময় ভিডিয়ো কল, স্বামীর যা হাল করলেন স্ত্রী ও মেয়ে

গাজিয়াবাদ: অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর। তা নিয়ে সংসারে চলে নিত্যদিনের অশান্তি। স্ত্রী এবং তাঁদের এক মাত্র মেয়ে ওই ব্যক্তির আচরণে অতিষ্ঠ। সম্প্রতি মদ্যপান করে এসে স্ত্রীকে মারধর করতে উদ্যত হয়েছিলেন পরকীয়ায় লিপ্ত ওই ব্যক্তি। তখনই মেয়ে এবং স্ত্রী মিলে পাথর দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় মারেন। এতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এর পর গাড়ি করে দেহ হাইওয়ের ধারে ফেলে আসেন মা ও মেয়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি এক জন স্বর্ণ ব্য়বসায়ী। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম অমিত ভার্মা। ৪০ বছরের ওই ব্য়ক্তি মধুবন বাপুধাম থানার অন্তর্গত সঞ্জয়নগর সেক্টর ২৩-এর বাসিন্দা। পেশায় তিনি এক জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং ১৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অমিত। এ নিয়ে প্রায়শই ঘরে অশান্তি হত। অমিতের স্ত্রী শালু পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রায়শই অন্য মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় থেকে ভিডিয়ো কল করতেন তাঁর স্বামী। শনিবার রাতেও মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে তাঁকে মেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন শালু। সেই অশান্তির জেরে রাত ১টা নাগাদ শালু ও তাঁর মেয়ে অমিতের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেন। এর জেরে মৃত্যু হয় অমিতের। এর পর ২জন মিলে অমিতের গাড়ি করে তাঁর দেহ নিয়ে রেখে আসেন হাইওয়ের ধারে।

গভীর রাতে পুলিশ ওই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা দেখে নামেন। তখনই দেখেন এক ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে গাড়ির ভিতর এবং রক্তে ভেসে গিয়েছে গাড়ির আসন। তখনই ব্যক্তির পরিচয় জেনে বাড়িতে আসে পুলিশ। বাড়ি থেকে রক্ত লেগে থাকা পাথর এবং একটি কাপড় উদ্ধার হয়। খুনের কথাও স্বীকার করেন মৃতের স্ত্রী। এর পর মৃতের মেয়ে ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।