Zubeen Garg Death: জুবিনের মৃত্যুর পিছনে কি রয়েছে কারোর হাত? গ্রেফতার ব্যান্ডের ড্রামার, তল্লাশি ম্যানেজারের বাড়িতেও
Zubin Garg Death Case: জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়ার বয়ান অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের ল্যাজ়ারুস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও শেখর জ্যোতি গোস্বামী। পাড়ে ফিরে আসার পর জুবিন ফের একবার স্কুবা ডাইভিং করতে যান, তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে দুপুর আড়াইটেয় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

গুয়াহাটি: জুবিন গর্গের মৃত্যুতে (Zubeen Garg Death) শোকে পাথর অসম। গায়কের আকস্মিক চলে যাওয়া মানতে পারছে না সঙ্গীতপ্রেমীরা। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর খবর। গ্রেফতার জুবিন গর্গের সঙ্গে থাকা এক মিউজিশিয়ান। বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম শেখরজ্যেতি গোস্বামী নামে ওই সঙ্গীতশিল্পীকে গ্রেফতার করে। জুবিনের মৃত্য়ুর দিন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন শেখরজ্যোতি। তাঁর গ্রেফতারিতে প্রশ্ন উঠছে, জুবিনের মৃত্যুর পিছনে কি কারোর হাত রয়েছে?
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের। তিনি সিঙ্গাপুরে আয়োজিত নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে জুবিনের খিঁচুনি হয় জলের মধ্যেই। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জুবিনের হঠাৎ এমন আকস্মিক মৃত্যুর পরই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। অসম সরকার ডিজিপি এমপি গুপ্তার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের সিট গঠন করে দেয় জুবিনের মৃত্যুর তদন্ত করতে। এরপরই এই গ্রেফতারি।
শেখরজ্যোতি জুবিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। অনেকের আবার দাবি, শেখরজ্যোতি জুবিন গর্গের ব্যান্ডে ড্রামার ছিলেন। গতকাল, দীর্ঘক্ষণ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে এখনও শেখরজ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ বা কীসের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। তবে গ্রেফতারির পর থেকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকালই সিট জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে আরও দুইজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। একজন হলেন সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মাহান্ত, আরেকজন হলেন জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা। শ্যামকানু মাহান্তের গীতানগরের বাড়িতে দুই পরিচারক ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। ধীরেনপাড়াতে তাঁর ফ্ল্যাটও তালাবন্ধ ছিল। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। পাড়া-পড়শিদের দাবি, জুবিনের মৃত্যুর পর থেকে শ্যামকানু বা তাঁর পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
পুলিশ যখন শ্য়ামকানুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে, তখন তাঁকে বিমানবন্দরে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, শ্যামকানু নিজেই সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আত্মসমর্পণের কথা বলেন।
সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে জুবিন কী কী করেছিলেন, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, পুলিশ গোটা ঘটনাক্রম তৈরি করার চেষ্টা করছে। আরও কয়েকজন তদন্তকারীদের র্যাডারে রয়েছে, তাদেরও হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়ার বয়ান অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের ল্যাজ়ারুস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও শেখর জ্যোতি গোস্বামী। পাড়ে ফিরে আসার পর জুবিন ফের একবার স্কুবা ডাইভিং করতে যান, তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে দুপুর আড়াইটেয় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সিঙ্গাপুর থেকে জুবিনের দেহ ভারতে আসার পর ফের একবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় রিপোর্টেও জুবিনের মৃত্যুর পিছনে অস্বাভাবিক কারণের উল্লেখ নেই। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, ২১টি গান স্যালুট দিয়ে জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
