AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Zubeen Garg: বিষ দেওয়া হয়েছিল জুবিনকে! ইয়টে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল

Zubeen Garg: জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজার শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জ্যোতি গোস্বামী। সিদ্ধার্থ শর্মাকে আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীদের জ্যোতি জানিয়েছেন, জুবিনের মৃত্যুর আগে ওই ম্যানেজারের কাজকর্ম সন্দেহজনক ছিল।

Zubeen Garg: বিষ দেওয়া হয়েছিল জুবিনকে! ইয়টে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল
Image Credit: PTI
| Updated on: Oct 04, 2025 | 10:08 AM
Share

নয়া দিল্লি: গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। স্কুবা ডাইভিং-এর পর সাঁতার কাটার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এবার উঠে এল ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। বিষ দেওয়া হয়েছিল জুবিনকে! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন তাঁরই ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য জ্যোতি গোস্বামী। মৃত্যুটা দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের। সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সমুদ্রে নেমে স্কুবা ডাইভিং করার সময় জুবিনের খিঁচুনি হয় জলের মধ্যেই। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে হলেও, বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবারই সিঙ্গাপুর সরকারের তরফ থেকে জুবিনের স্ত্রীর হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এবার উঠে আসছে নতুন অভিযোগ।

জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজার শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জ্যোতি গোস্বামী। সিদ্ধার্থ শর্মাকে আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীদের জ্যোতি জানিয়েছেন, জুবিনের মৃত্যুর আগে ওই ম্যানেজারের কাজকর্ম সন্দেহজনক ছিল।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জ্যোতি জানিয়েছেন, ইয়ট করে যখন জুবিনকে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন আচমকাই সিদ্ধার্থ শর্মা চালককে সরিয়ে দিয়ে ইয়ট চালাতে শুরু করেন। উত্তাল সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়ে আচমকাই ইয়ট চালান, যা মোটেই স্বাভাবিক কাজ ছিল না বলে দাবি জ্যোতির। শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থ শর্মা নাকি অসম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মদ দিতে বারণ করে দিয়েছিলেন, তিনি নিজেই সাপ্লাই করেছিলেন।

জ্যোতি তাঁর বয়ানে আরও বলেছেন, ‘জুবিনের যখন শ্বাস আটকে আসছিল, তখন শর্মা বলছিলেন, জাবো দে- জাবো দে (যেতে দাও)।’ তিনি আরও জানান, জুবিন একজন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সাঁতারু ছিলেন, তাঁকেই সাঁতার শিখিয়েছিলেন, তাই জুবিনে পক্ষে জলে ডুবে মৃত্যু সম্ভব নয়। ইয়টের কোনও ভিডিয়ো যাতে বাইরে না যায়, সে ব্যাপারেও নাকি সাবধান করেছিলেন সিদ্ধার্থ। জ্যোতির বক্তব্য, শিল্পীর মুখ থেকে যখন গাঁজা বেরতে শুরু করেছে, তখনও নাকি সিদ্ধার্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বলেছিলেন, ‘এটা অ্যাসিডে হচ্ছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই।’ তবে তদন্তকারীদের সামনে সব অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছেন সিদ্ধার্থ শর্মা ও শ্যামকানু মহন্ত।