Calcutta High Court: মুখ ফিরিয়েছে ক্লিনিক-স্বাস্থ্য দফতর, টেস্ট টিউব বেবি চেয়ে হাইকোর্টে যেতেই মুখে হাসি নিঃসন্তান দম্পত্তির
Calcutta High Court: এই দম্পতির ক্ষেত্রে বয়সই মূল বাধা টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার ক্ষেত্রে। আগেই আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চান বলে পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্নিনিকে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ক্লিনিকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এ ক্ষেত্রে বয়স যা থাকা দরকার তার থেকে ওই দম্পতির বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: বয়স ষাটের দোরগোড়ায়। এই বয়সেই সন্তান নিতে চান কাশীপুরের দম্পতি। সাহায্য নিতে চান টেস্ট টিউব পদ্ধতির। কিন্তু, বয়সের কারণে রয়েছে আইনি বাধা। আর সে কারণেই শেষ পর্যন্ত তাঁরা দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের। ৫৮ বছরের ওই নিঃসন্তান দম্পতিকে শেষ পর্যন্ত টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার অনুমতি দিল রাজ্যের শীর্ষ আদালত। অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এই দম্পতির ক্ষেত্রে বয়সই মূল বাধা টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার ক্ষেত্রে। আগেই আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চান বলে পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্নিনিকে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ক্লিনিকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এ ক্ষেত্রে বয়স যা থাকা দরকার তার থেকে ওই দম্পতির বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই ক্লিনিকে তাঁরা আবেদন করেন। সূত্রের খবর, ২৭ জুন তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় এই পদ্ধতিতে সন্তান নিতে গেলে পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ৫০ বছর। কিন্তু ওই দম্পতির বয়স ৫৮। সে কারণেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
এরপরই বংশরক্ষা করতে তাঁরা সোজা স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, সেখানে আবেদন করেও মেলেনি সাড়া। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পত্তি। সূত্রের খবর, শুনানি চলাকালীন দম্পত্তির উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ প্রশ্নও করেন অমৃতা সিনহা। স্পষ্ট জানতে চান এই বয়সে তাঁরা সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা। এমনকী সন্তান মানুষ করার জন্য তাঁদের কী পরিকল্পনা রয়েছে তাও জানতে চান। দম্পতির আইনজীবী স্পষ্ট জানান, তাঁর মক্কেলের কোনও আর্থিক সমস্যা নেই। যা আছে তা সন্তান মানুষ করার জন্য পর্যাপ্ত। এমনকী সন্তান নেওয়ার জন্য তাঁরা দীর্ঘদিন মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছেন। তাই তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতিকে টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার অনুমতি দিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।