কলকাতা: “দু’মাস আগে বিপ্লব করেছেন। আর তারপর অ্যাডভান্স নিয়ে তৃণমূলের মঞ্চে নাচ-গান করবেন ওসব এবার হবে না।” কয়েকদিন আগে আরজি কর আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিল্পীদের এই ভাষাতেই বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। এরইমধ্যে এদিন ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলেন,, “কে কোথায় প্রতিবাদ করবে সেটা তার এক্তিয়ার। তার স্বাধীনতা। কে কোথায় কাকে নিয়ে গান গাওয়াবে, কখন গাওয়াবে, কে গান গাইবে আমি জোর করে কারও মাথায় চাপাতে চাই না।” এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, “স্বাধীনতা সকলের আছে। উনি বলতে পারেন। পার্টির তরফে কেউ বলেছে? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি?”
যদিও কুণালের দাবি ছিল, মিথ্যা বিকৃত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নাটক হয়েছে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছিলেন, “আমাদের দলের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে যেন তাঁদের দেখা না যায়। তৃণমূল কর্মীদের আবেগে আঘাত লাগছে।” এমতাবস্থায় ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেকের মন্তব্যের পর এদিন ফের নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। এরপর কুণাল কী বলেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। শেষ পর্যন্ত কুণাল বললেন। স্পষ্টই বললেন, “আমি ঠিক বলেছি। আবেগ থেকে তৃণমূল কর্মীরা বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার বলবেন। আমি মেনে নেব। প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে। প্রতিবাদের নামে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তৃণমূলকে কুৎসিত আক্রমণ করেছেন, তাঁদের কথা বলেছি।”
চাপানউতোরের মধ্যেই কুণালের স্পষ্ট কথা, “কোনও ভুল বলিনি। কালও তাই বলব। আগেও বলেছি। তৃণমূলের কর্মীদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন। তা মেনে নেব।” যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মত, আদপে অভিষেকের বক্তব্যকে গুরুত্বহীন করে দিলেন কুণাল। সে কারণেই বারবার করে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললে মেনে নেব। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।