Tala Bridge Opening: বৃহস্পতিতে খুলছে টালা ব্রিজ, উদ্বোধনের ৪৮ ঘণ্টা আগে বিক্ষোভ
Tala Bridge: আগে ব্রিজের মাঝে একটি ফাঁকা জায়গা করা ছিল। সেখান থেকে একটি সিড়ি ছিল। সাধারন মানুষ সেই সিড়ি দিয়ে নেমে আরজিকর হাসপাতালে পৌঁছতে পারতেন। শুধু তাই নয়, চিৎপুর স্টেশনের যাত্রীদেরও সুবিধা হত। কিন্তু অভিযোগ, এখন সিড়ি থাকলেও 'কাট আউট' বা ফাঁকা জায়গা রাখা হয়নি সিড়ি দিয়ে নামার জন্য।

কলকাতা: আড়াই বছর পর খুলতে চলেছে টালা সেতু (Tala Bridge)। আগামী বৃহস্পতিবার টালা ব্রিজের উদ্বোধন করবেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগেই যখন উদ্বোধনের জল্পনা তুঙ্গে, তখন সেই নির্মীয়মাণ টালা ব্রিজে বিক্ষোভ দেখালেন কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ বাগানের বাসিন্দারা। একাধিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে চলে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার টালা ব্রিজ পরিদর্শন করতে আসেন ডিসি ট্রাফিক সুনীল যাদব। মুখমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরাও আসেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে সব কিছুর মাঝেই মঙ্গলবার বিকেলে ওই সেতুর আশপাশের কিছু লোকজন বিক্ষোভ দেখতে থাকেন বলে অভিযোগ।
আগে ব্রিজের মাঝে একটি ফাঁকা জায়গা করা ছিল। সেখান থেকে একটি সিড়ি ছিল। সাধারন মানুষ সেই সিড়ি দিয়ে নেমে আরজিকর হাসপাতালে পৌঁছতে পারতেন। শুধু তাই নয়, চিৎপুর স্টেশনের যাত্রীদেরও সুবিধা হত। কিন্তু অভিযোগ, এখন সিড়ি থাকলেও ‘কাট আউট’ বা ফাঁকা জায়গা রাখা হয়নি সিড়ি দিয়ে নামার জন্য। আর সেই ক্ষোভই মঙ্গলবার কিছু সাধারণ মানুষ দেখান বলে অভিযোগ।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টালা ব্রিজ। প্রায় আড়াই বছরের অপেক্ষা শেষে ফের টালা ব্রিজ খুলতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই টালা ব্রিজ খোলার দিন নিয়ে জল্পনা চলছিল। পুজোর আগেই টালা ব্রিজ চালু করে দিতে চাইছিল রাজ্য প্রশাসন। সেই মতো আগামী বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়া হচ্ছে টালা ব্রিজ। টালা ব্রিজের সংস্কারের জন্য় প্রায় ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। টালা ব্রিজ খুলে গেলে বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। বিশেষ করে উত্তর কলকাতার সঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। শুধু উত্তর কলকাতাই নয়, এর পাশাপাশি সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বহু মানুষও এই টালা ব্রিজের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।
