আসানসোল: দোলের সকালেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫২ নাগাদ আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় তাঁকে। রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই কলকাতায় (Kolkata) নিয়ে আসা হচ্ছে অনুব্রতকে। আজই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে। তবে জোঁকা ইএসআই হাসপাতালে প্রথমে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তারপর তুলে দেওয়া হবে ইডি-র হাতে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলনে ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে বিজেপি।
হুগলি জেলা শিক্ষা ভবনের গেট বন্ধ করে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। গুটি কয়েক বিজেপি কর্মী গেটের সামনে বিক্ষোভও দেখান।
ইডি-র নজরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিনিয়োগ। হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মাসে কম করে পাঁচ কোটি টাকা প্রোটেকশন মানি দিতে হত সায়গল হোসেনকে। অনুব্রতর কথাতেই সেই টাকা নিতেন সাইগাল। তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। একটি হাট থেকেই সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার গরু পাচার হত। সেই হিসাবেই ঠিক হত ‘প্রোটেকশন মানি’। পাচারের পরিমাণ বেশি হলে প্রোটেকশন মানি’র অঙ্কও বাড়ত। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডলের সাহায্যে গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হক পাচারের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বালি পাচার ও পাথর খাদান ব্যবসাতেও। সেই ব্যবসা থেকেও ২ কোটি টাকা দিতে হত সায়গলকে। ‘প্রটেকশন মানি’ ১৫ দিন কিংবা এক মাস অন্তর জমা দিতে হত বলে জানা গিয়েছে।
অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরায় এবার আটঘাঁট বাঁধল ইডি (Enforcement Directorate)। বিচারকের নির্দেশ তিন দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেষ্টকে জেরায় এবার বিশেষ দল গড়ল ইডি। ৬ সদস্যের বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং । দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নবাণ তৈরি করেছে ইডি। যেমন, এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? গরু পাচারে প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? আয়ের উত্স কী? একাধিক রাইস মিল কার টাকায় কেনা? বিরাট অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের উত্স কী? ইত্যাদি। জানা যাচ্ছে, গোটা জেরাপর্বের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে।
বুধবার সকালে মেডিক্যাল টেস্টের পর হালকা খাবার খেয়েছেন। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে চা-বিস্কুট খেয়েছেন অনুব্রত। প্রাতরাশ সেরেছেন রুটি-সবজি দিয়ে।চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট মেনেই খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, বাংলা কাগজ পড়তে চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
বিস্তারিত পড়ুন: চা-বিস্কুট হাতে নিয়ে বাংলা খবর কাগজের খোঁজ করলেন কেষ্ট
ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে যে দল গঠন করা হয়েছে সেই দলে থাকবেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকার, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, দলে থাকছেন সনিয়া নারাং, থাকছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, এছাড়াও থাকছেন সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা, ও সোহান কুমার শর্মার মতো তাবড় অফিসাররা।
ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও সময় নষ্ট না করতেই রাতেই শুনানির ব্যবস্থা করা হয় দিল্লিতে। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দিল্লি পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভার্চুয়ালি পেশ করে শুনানি শুরু করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। জেরার জন্য ৬ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করলো ইডি। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন দুঁদে আইপিএস তথা ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং।
বিস্তারিত পড়ুন: ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, দিল্লিতে অনুব্রতকে প্রশ্নবাণে বিঁধবেন এই দুঁদে মহিলা আইপিএস
ইডির সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানেই রাতে থাকবেন তিনি।
তিনদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি এদিন ১৪ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়ে ছিল। অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁদের আর্জি মেনে জেরার সময় আইনজীবীদের উপস্থিত থাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাঁর আইনজীবীরা। প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অনুব্রতর তরফে সশরীরে হাজিরার আর্জি জানানো হয় এদিন। সে কথা শুনে বিচারক বলেন, রাতেই তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে ইডি। এরপরই ইডি অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হয় বিচারকের বাসভবনের দিকে। রাত ১২ টার পর ইডি দফতর থেকে বেরতে দেখা যায় ইডির গাড়ি।
রাত সাড়ে ১১ টায় শুনানি শুরু হয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে অনুব্রতকে ১৪ দিন হেফাজতে নিতে চেয়েছে ED। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, সশরীরে হাজির করতেই হবে।
শারীরিক পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি থেকে ইডির সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হল। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর। পরে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি অফিসে। রাতে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর হুইল চেয়ারে বসিয়ে বের করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাতে তিনি থাকবেন দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরেই।
৯ টা ১৫ মিনিটে বিমান দিল্লিতে অবতরণ করার কথা থাকলেও, সময়ের বেশ কিছুটা আগেই পৌঁছে গেল ভিসতারার সেই বিমান। ৮ টা ৫৪ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে বেরবে ইডি। দিল্লিতে ফের তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা।
অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা হয়েছে অনেক। তবে এবার কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। যে বিমানে যাত্রা করছেন অনুব্রত, সেটি ৯ টা ১৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির পথে অনুব্রত মণ্ডল। বিমানের একেবার শেষ সারিতে মাঝের আসনে বসেছেন কেষ্ট। অনুব্রত মণ্ডলকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সবাই। প্রথমে কিছুটা নীচু হয়ে মুখ লোকানোর চেষ্টা করেন কেষ্ট। পরে অবশ্য ধাতস্থ হয়ে যান।
অনুব্রতের দিল্লিযাত্রায় ফিসচুলার সমস্যার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত। বিমানে বিশেষ ধরনের কুশন ব্যবহার করা হচ্ছে অনুব্রতর আসনের জন্য। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। ফোমের তৈরি গোলাকৃতি কুশন থাকবে বিমানের আসনে। তার উপরে বসবেন কেষ্ট। ফিসচুলার উপরে যাতে চাপ না পড়ে, তার জন্য এই ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, ফিসচুলার জন্যই সন্ধের উড়ানে আরামদায়ক আসনে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা। সূত্রের খবর, আগে ঠিক ছিল বিকালের বিমানেই দিল্লি যাবেন কেষ্ট। কিন্তু ফিসচুলার সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে আরামদায়ক বিমানের আসনে টিকিট কাটা হয় বলে জানা গিয়েছে।
দোলের রাতেই ইডি-র তত্ত্বাবধানে দিল্লিতে পৌঁছবেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। আর তাই আসানসোল থেকে দিল্লি, আনন্দে মেতে উঠেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হতেই দিল্লির রাজপথে নেমে গুড়-বাতাসা বিলি করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। শুধু রাস্তায় বিলি করা নয়, তিহাড় জেলে ‘কাকু’-র কাছেও গুড় বাতাসা পাঠাবেন বলে জানালেন একদা অনুব্রতর ‘ভাইপো’।
বিস্তারিত পড়ুন: দিল্লি আসছেন অনুব্রত, রাজধানীর রাজপথে গুড়-বাতাসা বিলি অনুপমের
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছাতেই ইনহেলার ব্যবহার করতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর দাবি, তাঁর খুব শরীর খারাপ লাগছে। যদিও জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে চা খেয়েছেন তিনি। জোকা ইএসআই থেকে খাওয়া দাওয়া সেরেই বেরিয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু বিমানবন্দরে এসে তাঁর খিদে পেয়েছে বলেই আধিকারিকদের জানিয়েছেন বলে খবর।
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সম্ভবত হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইনহেলার বের করে টানতেও দেখা যায় কেষ্ট মণ্ডলকে। কলকাতা বিমানবন্দরে ইডির গাড়ি পৌঁছানোর পরই অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা বোধ করছিলেন। সেই কারণে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সরাসরি চেক ইন প্রসেসের জন্য না নিয়ে গিয়ে, বিমানবন্দরের ৩সি গেটের বাঁ দিকে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ইনহেলার নেন এবং তারপর তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানেও অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকবেন একজন চিকিৎসক। বিমানে থাকবেন ইডির তিনজন আধিকারিক। মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটের বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন ইডির আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বিমানে কেষ্টর সিট নম্বর ১১ডি।
হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ ফিট রয়েছে। অর্থাৎ, কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরোন অনুব্রত। তাঁকে গাড়িতে তুলে রওনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ফিট’ অনুব্রত মণ্ডল, ‘বীরভূমের বাঘ’কে নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে রওনা ইডির
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ সকালে এগারোটা নাগাদ পৌঁছন তিনি।
আজ সকালে ব্রেকফাস্টের সময় সবুজ পঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। প্রথমে ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় না জানালেও পরে tv9 বাংলার তদন্তে প্রকাশ পেল তাঁর পরিচয়। সূত্রের খবর অনুব্রতর খাবারের টেবিলে উপস্থিত ছিলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজন কৃপাময় ঘোষ, সুকন্যার ড্রাইভার তুফান মীর্ধা, জাম্বনির ছোটন সিং। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি চড়ে এই তিনজন উপস্থিত হয়েছেন সেই গাড়িটি মলয় পিটের
দিল্লিতেও হবে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। আরএমএল অথবা সফদর জং হাসপাতালে পরীক্ষা হবে তাঁর। সূ্ত্রের খবর, রাত্রি আটটা নাগাদ সময় পেলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারকের বাড়িতে হাজির করানো হবে তাঁকে। পাশাপাশি ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে ইডি।
‘কিছু বলব না’, ব্রেকফাস্ট সেরে যাওয়ার গাড়িতে ওঠার আগে টিভি ৯ বাংলাকে বললেন কেষ্ট।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, (সকাল ৭টা ৩০ মিনিট) বর্তমানে দুর্গাপুরে পৌঁছে গিয়েছে কেষ্ট মণ্ডলের গাড়ি। আসানসোল থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গাপুরে ঢুকল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী (সকাল ৭টা ১৩ মিনিট) অনুব্রতর গাড়ি রানিগঞ্জ ছাড়িয়ে অন্ডালে রয়েছে। কলকাতায় আসছেন তিনি। তবে এ দিন জেলের বাইরে কোনও তৃণমূল কর্মী বা সমর্থককে দেখা যায়নি। ফলে বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে কি দল ধীরে-ধীরে দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল তাঁর থেকে?
এক বিজেপি কর্মী বলেন, “এবার গোটা রাজ্যের শুদ্ধিকরণ হবে। কারণ এই ধরনের মানুষ সারা পশ্চিমবঙ্গকে জ্বালিয়ে এসেছে। গরু-কয়লা-বালি কোনও চুরিই বাদ রাখেনি। এরা জমি মাফিয়া। যথা যোগ্য শাস্তি প্রয়োজন আসে। আজকে আমরা গোবর দিয়ে আসানসোল জেল শুদ্ধিকরণ করব।” এ দিকে অনুব্রতকে গাড়িতে তোলার সময় আসানসোল জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
আসালসোল থেকে কলকাতা উদ্দেশে রওনা দিয়েছে অনুব্রতর গাড়ি। এ দিন গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার প্রশ্ন করলেও নিশ্চুপ ছিলেন। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে আসানসোল জেলের বাইরে।
আসানসোল: দোলের সকালেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫২ নাগাদ আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় তাঁকে। রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই কলকাতায় (Kolkata) নিয়ে আসা হচ্ছে অনুব্রতকে। আজই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে। তবে জোঁকা ইএসআই হাসপাতালে প্রথমে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তারপর তুলে দেওয়া হবে ইডি-র হাতে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলনে ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে বিজেপি।
হুগলি জেলা শিক্ষা ভবনের গেট বন্ধ করে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। গুটি কয়েক বিজেপি কর্মী গেটের সামনে বিক্ষোভও দেখান।
ইডি-র নজরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিনিয়োগ। হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মাসে কম করে পাঁচ কোটি টাকা প্রোটেকশন মানি দিতে হত সায়গল হোসেনকে। অনুব্রতর কথাতেই সেই টাকা নিতেন সাইগাল। তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। একটি হাট থেকেই সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার গরু পাচার হত। সেই হিসাবেই ঠিক হত ‘প্রোটেকশন মানি’। পাচারের পরিমাণ বেশি হলে প্রোটেকশন মানি’র অঙ্কও বাড়ত। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডলের সাহায্যে গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হক পাচারের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বালি পাচার ও পাথর খাদান ব্যবসাতেও। সেই ব্যবসা থেকেও ২ কোটি টাকা দিতে হত সায়গলকে। ‘প্রটেকশন মানি’ ১৫ দিন কিংবা এক মাস অন্তর জমা দিতে হত বলে জানা গিয়েছে।
অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরায় এবার আটঘাঁট বাঁধল ইডি (Enforcement Directorate)। বিচারকের নির্দেশ তিন দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেষ্টকে জেরায় এবার বিশেষ দল গড়ল ইডি। ৬ সদস্যের বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং । দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নবাণ তৈরি করেছে ইডি। যেমন, এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? গরু পাচারে প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? আয়ের উত্স কী? একাধিক রাইস মিল কার টাকায় কেনা? বিরাট অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের উত্স কী? ইত্যাদি। জানা যাচ্ছে, গোটা জেরাপর্বের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে।
বুধবার সকালে মেডিক্যাল টেস্টের পর হালকা খাবার খেয়েছেন। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে চা-বিস্কুট খেয়েছেন অনুব্রত। প্রাতরাশ সেরেছেন রুটি-সবজি দিয়ে।চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট মেনেই খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, বাংলা কাগজ পড়তে চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
বিস্তারিত পড়ুন: চা-বিস্কুট হাতে নিয়ে বাংলা খবর কাগজের খোঁজ করলেন কেষ্ট
ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে যে দল গঠন করা হয়েছে সেই দলে থাকবেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকার, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, দলে থাকছেন সনিয়া নারাং, থাকছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, এছাড়াও থাকছেন সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা, ও সোহান কুমার শর্মার মতো তাবড় অফিসাররা।
ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও সময় নষ্ট না করতেই রাতেই শুনানির ব্যবস্থা করা হয় দিল্লিতে। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দিল্লি পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভার্চুয়ালি পেশ করে শুনানি শুরু করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। জেরার জন্য ৬ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করলো ইডি। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন দুঁদে আইপিএস তথা ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং।
বিস্তারিত পড়ুন: ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, দিল্লিতে অনুব্রতকে প্রশ্নবাণে বিঁধবেন এই দুঁদে মহিলা আইপিএস
ইডির সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানেই রাতে থাকবেন তিনি।
তিনদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি এদিন ১৪ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়ে ছিল। অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁদের আর্জি মেনে জেরার সময় আইনজীবীদের উপস্থিত থাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাঁর আইনজীবীরা। প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অনুব্রতর তরফে সশরীরে হাজিরার আর্জি জানানো হয় এদিন। সে কথা শুনে বিচারক বলেন, রাতেই তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে ইডি। এরপরই ইডি অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হয় বিচারকের বাসভবনের দিকে। রাত ১২ টার পর ইডি দফতর থেকে বেরতে দেখা যায় ইডির গাড়ি।
রাত সাড়ে ১১ টায় শুনানি শুরু হয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে অনুব্রতকে ১৪ দিন হেফাজতে নিতে চেয়েছে ED। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, সশরীরে হাজির করতেই হবে।
শারীরিক পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি থেকে ইডির সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হল। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর। পরে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি অফিসে। রাতে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর হুইল চেয়ারে বসিয়ে বের করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাতে তিনি থাকবেন দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরেই।
৯ টা ১৫ মিনিটে বিমান দিল্লিতে অবতরণ করার কথা থাকলেও, সময়ের বেশ কিছুটা আগেই পৌঁছে গেল ভিসতারার সেই বিমান। ৮ টা ৫৪ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে বেরবে ইডি। দিল্লিতে ফের তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা।
অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা হয়েছে অনেক। তবে এবার কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। যে বিমানে যাত্রা করছেন অনুব্রত, সেটি ৯ টা ১৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির পথে অনুব্রত মণ্ডল। বিমানের একেবার শেষ সারিতে মাঝের আসনে বসেছেন কেষ্ট। অনুব্রত মণ্ডলকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সবাই। প্রথমে কিছুটা নীচু হয়ে মুখ লোকানোর চেষ্টা করেন কেষ্ট। পরে অবশ্য ধাতস্থ হয়ে যান।
অনুব্রতের দিল্লিযাত্রায় ফিসচুলার সমস্যার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত। বিমানে বিশেষ ধরনের কুশন ব্যবহার করা হচ্ছে অনুব্রতর আসনের জন্য। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। ফোমের তৈরি গোলাকৃতি কুশন থাকবে বিমানের আসনে। তার উপরে বসবেন কেষ্ট। ফিসচুলার উপরে যাতে চাপ না পড়ে, তার জন্য এই ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, ফিসচুলার জন্যই সন্ধের উড়ানে আরামদায়ক আসনে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা। সূত্রের খবর, আগে ঠিক ছিল বিকালের বিমানেই দিল্লি যাবেন কেষ্ট। কিন্তু ফিসচুলার সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে আরামদায়ক বিমানের আসনে টিকিট কাটা হয় বলে জানা গিয়েছে।
দোলের রাতেই ইডি-র তত্ত্বাবধানে দিল্লিতে পৌঁছবেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। আর তাই আসানসোল থেকে দিল্লি, আনন্দে মেতে উঠেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হতেই দিল্লির রাজপথে নেমে গুড়-বাতাসা বিলি করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। শুধু রাস্তায় বিলি করা নয়, তিহাড় জেলে ‘কাকু’-র কাছেও গুড় বাতাসা পাঠাবেন বলে জানালেন একদা অনুব্রতর ‘ভাইপো’।
বিস্তারিত পড়ুন: দিল্লি আসছেন অনুব্রত, রাজধানীর রাজপথে গুড়-বাতাসা বিলি অনুপমের
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছাতেই ইনহেলার ব্যবহার করতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর দাবি, তাঁর খুব শরীর খারাপ লাগছে। যদিও জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে চা খেয়েছেন তিনি। জোকা ইএসআই থেকে খাওয়া দাওয়া সেরেই বেরিয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু বিমানবন্দরে এসে তাঁর খিদে পেয়েছে বলেই আধিকারিকদের জানিয়েছেন বলে খবর।
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সম্ভবত হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইনহেলার বের করে টানতেও দেখা যায় কেষ্ট মণ্ডলকে। কলকাতা বিমানবন্দরে ইডির গাড়ি পৌঁছানোর পরই অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা বোধ করছিলেন। সেই কারণে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সরাসরি চেক ইন প্রসেসের জন্য না নিয়ে গিয়ে, বিমানবন্দরের ৩সি গেটের বাঁ দিকে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ইনহেলার নেন এবং তারপর তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানেও অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকবেন একজন চিকিৎসক। বিমানে থাকবেন ইডির তিনজন আধিকারিক। মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটের বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন ইডির আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বিমানে কেষ্টর সিট নম্বর ১১ডি।
হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ ফিট রয়েছে। অর্থাৎ, কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরোন অনুব্রত। তাঁকে গাড়িতে তুলে রওনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ফিট’ অনুব্রত মণ্ডল, ‘বীরভূমের বাঘ’কে নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে রওনা ইডির
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ সকালে এগারোটা নাগাদ পৌঁছন তিনি।
আজ সকালে ব্রেকফাস্টের সময় সবুজ পঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। প্রথমে ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় না জানালেও পরে tv9 বাংলার তদন্তে প্রকাশ পেল তাঁর পরিচয়। সূত্রের খবর অনুব্রতর খাবারের টেবিলে উপস্থিত ছিলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজন কৃপাময় ঘোষ, সুকন্যার ড্রাইভার তুফান মীর্ধা, জাম্বনির ছোটন সিং। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি চড়ে এই তিনজন উপস্থিত হয়েছেন সেই গাড়িটি মলয় পিটের
দিল্লিতেও হবে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। আরএমএল অথবা সফদর জং হাসপাতালে পরীক্ষা হবে তাঁর। সূ্ত্রের খবর, রাত্রি আটটা নাগাদ সময় পেলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারকের বাড়িতে হাজির করানো হবে তাঁকে। পাশাপাশি ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে ইডি।
‘কিছু বলব না’, ব্রেকফাস্ট সেরে যাওয়ার গাড়িতে ওঠার আগে টিভি ৯ বাংলাকে বললেন কেষ্ট।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, (সকাল ৭টা ৩০ মিনিট) বর্তমানে দুর্গাপুরে পৌঁছে গিয়েছে কেষ্ট মণ্ডলের গাড়ি। আসানসোল থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গাপুরে ঢুকল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী (সকাল ৭টা ১৩ মিনিট) অনুব্রতর গাড়ি রানিগঞ্জ ছাড়িয়ে অন্ডালে রয়েছে। কলকাতায় আসছেন তিনি। তবে এ দিন জেলের বাইরে কোনও তৃণমূল কর্মী বা সমর্থককে দেখা যায়নি। ফলে বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে কি দল ধীরে-ধীরে দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল তাঁর থেকে?
এক বিজেপি কর্মী বলেন, “এবার গোটা রাজ্যের শুদ্ধিকরণ হবে। কারণ এই ধরনের মানুষ সারা পশ্চিমবঙ্গকে জ্বালিয়ে এসেছে। গরু-কয়লা-বালি কোনও চুরিই বাদ রাখেনি। এরা জমি মাফিয়া। যথা যোগ্য শাস্তি প্রয়োজন আসে। আজকে আমরা গোবর দিয়ে আসানসোল জেল শুদ্ধিকরণ করব।” এ দিকে অনুব্রতকে গাড়িতে তোলার সময় আসানসোল জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
আসালসোল থেকে কলকাতা উদ্দেশে রওনা দিয়েছে অনুব্রতর গাড়ি। এ দিন গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার প্রশ্ন করলেও নিশ্চুপ ছিলেন। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে আসানসোল জেলের বাইরে।