Calcutta High Court: জয়ন্ত সিংয়ের সাধের অট্টালিকায় কাদের বাস? গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ পেতেই হাইকোর্টে আবেদন
Calcutta High Court: নিজেকে ওই বাড়ির বাসিন্দা বলে দাবি করেন প্রশান্ত সিং। তাঁর বক্তব্য, পুরসভা নোটিস দেওয়ার আগে কোনও হিয়ারিং করেনি। ফলে ওই বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি তাঁরা। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চে মূল মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, বর্তমান মামলাকারী প্রশান্ত সিং ওই বাড়িতে কোনওদিন ছিলেন না।

কলকাতা: প্রাসাদোপম বাড়ি। একসময়ের আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিংয়ের সেই সাধের অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা যখন শেষের পথে, তখন ওই অট্টালিকার আবাসিক হিসেবে দাবি করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জমা পড়ল। প্রশান্ত সিং নামে আবেদনকারীর দাবি, কামারহাটি পুরসভা বাড়ি ভাঙার নোটিস দেওয়ার আগে কোনও হিয়ারিং করেনি।
হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের সিঙ্গল বেঞ্চ জেলবন্দি জয়ন্ত সিংয়ের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে কামারহাটি পুরসভা নোটিস দিয়ে জানায়, জুন মাসের মাঝামাঝি জয়ন্ত সিংয়ের বেআইনিভাবে নির্মিত ওই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছেন প্রশান্ত সিং।
তিনি নিজেকে ওই বাড়ির এক বাসিন্দা বলে দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য, পুরসভা নোটিস দেওয়ার আগে কোনও হিয়ারিং করেনি। ফলে ওই বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি তাঁরা। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চে মূল মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, বর্তমান মামলাকারী প্রশান্ত সিং ওই বাড়িতে কোনওদিন ছিলেন না। ওই বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে থাকার কোনও নথি তিনি দেখাতে পারবেন না। মূল মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ওই বেআইনি নির্মাণের মাথা জয়ন্ত সিং এখন অন্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই অবস্থায় বেআইনি এই নির্মাণ বাঁচাতে একজন ভুয়ো বাসিন্দাকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন




প্রশান্ত সিং নিজেকে ওই বাড়ির বাসিন্দা বললেও তার সপক্ষে কোনও নথি জমা দিতে পারেননি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই বাড়ি ভাঙার আগে মামলাকারী প্রশান্ত সিংকে ডেকে হিয়ারিং করে তাঁর বক্তব্য শুনবে পুরসভা। যদিও শর্ত দেওয়া হয়েছে, তিনি যে ওই বাড়ির বাসিন্দা, তার যথাযথ প্রমাণ আগে দিতে হবে।





