Arpita Mukherjee: পার্থর স্ত্রী-বিয়োগের পরই আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ইডিকে জানালেন অর্পিতা: সূত্র
Arpita Mukherjee: গত কয়েকদিনে ইডি-র একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অর্পিতাকে। তাঁর জবাব থেকেই সূত্র খুঁজছেন আধিকারিকরা।
কলকাতা : টলিগঞ্জে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার একদিকে যেমন টাকার পাহাড়ের ছবি দেখে চোখ কপালে উঠেছে সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে, চর্চা শুরু হয় পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও। কেন অর্পিতার ফ্ল্যাটেই টাকা রাখা হত? পার্থর সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল অর্পিতার? এ সব প্রশ্ন যখন সাধারণের মনে ঘুরছে, তখন ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘনিষ্ঠতার কথা জেরার মুখে নিজেই স্বীকার করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তিনি আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছেন, অসম বয়সী হলেও ভাল বন্ধু ছিলেন পার্থ।
গত শনিবার গ্রেফতার হন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বা উদ্ধার হওয়ার টাকার উৎস, এ সব নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অর্পিতাকে। জানা যাচ্ছে, সে সব প্রশ্নের উত্তরের ওপর ভিত্তি করে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। তাঁকে জেরা করেই বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছিল বলেও দাবি ইডির।
ইডি সূত্রে খবর, ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেননি তিনি। আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ভাল বন্ধু ছিলেন পার্থ। ২০১৭ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সেই সময় থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তবে বন্ধুত্ব থাকলেও পার্থর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কোনও দিন মাথা ঘামাননি বলেই দাবি করেছেন অর্পিতা।
কিন্তু টাকার কথা কি জানতেন? সেটাও অর্পিতা একেবারে অস্বীকার করেননি বলেই জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছেন সরকারি ছাপ মারা খামে যে টাকা রয়েছে, তা তিনি অনেক পরে জানতে পেরেছিলেন। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন সময়ে এসে তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেতেন বলেও দাবি করেছেন অর্পিতা। কিন্তু সূত্রের খবর, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, টাকার কথা প্রথমে জানতে পারেননি। তিনি জানতেন খামে করে জরুরি নথিপত্র আসে। পরে বুঝতে পেরেছিলেন, ওই সব খামে আসলে রয়েছে টাকা।
কার টাকা জানতে চাননি? সূত্রের খবর, অর্পিতা বলেছেন, তিনি জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, প্যাকেট যেমন আছে, তেমনই যেন থাকে।