Higher Secondary Result: ‘হ-য-ব-র-ল সাবজেক্ট’! দেখুন উচ্চমাধ্যমিকের ফার্স্টবয়দের মার্কশিটের ‘বিষয়-আশয়’
Higher Secondary Result: এবারের মেধাতালিকায় এক্কেবারে প্রথমে জ্বলজ্বল করছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্রের নাম। দু’জনই পেয়েছেন ৯৮.৯৭ শতাংশ। একজন প্রীতম বল্লভ, অন্যজন আদিত্য নারায়ণ জানা। তাঁদের বিষয় হিসাবে রয়েছে ইকোনমিকস, অঙ্ক, স্ট্যাটিটিকস, কম্পিউটার সায়েন্স।

কলকাতা: রাজ্যে লাঘু হয়েছে স্টেট এডুকেশন পলিসি। নতুন যুগে নতুন শিক্ষা নীতিতে শিক্ষিত হচ্ছে জেন জ়ি। আর বিষয় বাছাইয়ে নেই কোনও বেড়াজাল। কলা-বিজ্ঞান-বাণিজ্য, সব মিলেমিশে একাকার। এক্কেবারে যেন হ-য-ব-র-ল। আর তাতেই যেন বদলে গেল সব চেনা সমীকরণ। উঠছে প্রচুর নম্বর। এবারই প্রথম সেমিস্টার সিস্টেমে হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর তাতেই কেউ অঙ্কের সঙ্গে নিলেন সাইকোলজি, কেউ আবার নিলেন ইকোনমিকস, স্ট্যাটিটিকসের মতো সাবজেক্ট। তাতেই কেল্লাফতে। একবারে সাড়া জাগানো রেজাল্ট একাধিক কৃতীর। শুধু যদি মেধাতালিকায় থাকা ছাত্রদের পরিসংখ্যানে চোখ যায় তাহলেও বিষয়টা একেবারে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।
এবারের মেধাতালিকায় এক্কেবারে প্রথমে জ্বলজ্বল করছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্রের নাম। দু’জনই পেয়েছেন ৯৮.৯৭ শতাংশ। একজন প্রীতম বল্লভ, অন্যজন আদিত্য নারায়ণ জানা। তাঁদের বিষয় হিসাবে রয়েছে ইকোনমিকস, অঙ্ক, স্ট্যাটিটিকস, কম্পিউটার সায়েন্স। সঙ্গে বাংলা, ইংরাজি তো রয়েইছে। যদিও তাঁরা আবার বলছেন কেউ ইকোনমিকস তো কেউ স্ট্যাটিটিকস, ডেটা সায়েন্স নিয়ে এগোতে চান। করতে চান অনার্স। অর্থাৎ, বিষয় আগেই ঠিক, সেই আধারেই চলেছে পড়াশোনা। সঙ্গে ঠিক লক্ষ্যও।
গোটা মেধাতালিকা জুড়ে রয়েছে এরকমই অজস্র উদাহরণ, তা দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। টিভি৯ বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এবার তো এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। আসলে আর তো কোনও বেড়াজাল থাকছে না। ছবি দেখে মনে হচ্ছে আগামীতে ছাত্রদের মধ্যে এইভাবে বিষয় বাছাইয়ের প্রবণতা অনেকটাই বাড়তে পারে।”
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি চন্দন মাইতিও বলছেন একই কথা। তিনি বলছেন, “এবার এইভাবে বিষয় বাছাইয়ের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। আসলে পড়ুয়াদের নম্বর একলাফে অনেকটাই বেড়েছে।” তবে এবারের মেধাতালিকায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ৬৯ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে একজন শুধু বাণিজ্য বিভাগের। কলা বিভাগের কারও দেখা মেলেনি। তা নিয়ে যদিও একটা চাপানউতোর চলছে শিক্ষামহলে।
