Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিধানসভায় লাভলি, সোহমরা কে কার পাশে বসছেন, আসন বণ্টনে এবার নয়া ফর্মুলা

Assembly: সূত্রের খবর, বসার ব্যবস্থা হবে ছোট ছোট ব্লক ভাগ করে।

বিধানসভায় লাভলি, সোহমরা কে কার পাশে বসছেন, আসন বণ্টনে এবার নয়া ফর্মুলা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 10:23 AM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: এবার বিধানসভা অধিবেশন ঘিরে একাধিক নয়া পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে শাসকদলের অন্দরে। প্রচুর নতুন মুখ যেমন শাসকদলের প্রতিনিধি হিসাবে বিধানসভায় গিয়েছেন। একই ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধিরা রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে। চিকিৎসাক্ষেত্র, অভিনয় জগৎ, ক্রীড়াজগৎ, সমাজসেবী, পোড় খাওয়া রাজনীতিক — প্রতিনিধিত্ব রয়েছে সবস্তরের মানুষেরই। এবার তৃতীয় তৃণমূল সরকার আর সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশনে বসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এই ক্ষেত্র বিশেষ।

কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই নানা নিয়ম মেনে বিধানসভা কক্ষে বসতে হবে বিধায়কদের। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার অত্যাবশ্যক। সঙ্গে মানতে হবে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও। সূত্রের খবর, বসার ব্যবস্থা হয়েছে ছোট ছোট ব্লক ভাগ করে। যেমন স্বাস্থ্যক্ষেত্র থেকে যে প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাঁরা একটি নির্দিষ্ট ব্লকে একইসঙ্গে বসবেন। সে ক্ষেত্রে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাত, উলুবেড়িয়া উত্তরের নির্মল মাজি, বালির রানা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের সুদীপ্ত রায় সকলেই পেশায় চিকিৎসক। তাঁরা একসঙ্গে বসছেন।

আবার লাভলি মৈত্র, জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সিদের মতো সঙ্গীত কিংবা অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত বিধায়করা রয়েছেন, তাঁরা বসছেন একসঙ্গে। এ ক্ষেত্রে আবার রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, সোহম চক্রবর্তীদের জন্য থাকবে অন্য জায়গা। কলকাতা পুর এলাকা থেকে জিতে এসেছেন যে সমস্ত বিধায়ক, যেমন অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার কিংবা দেবব্রত মজুমদাররা বসছেন পাশাপাশি।

আরও পড়ুন: জুনের বাগ্মিতায় ভরসা তৃণমূলের, রাজ্যপাল-ভাষণের আলোচনা পর্বে বক্তা মেদিনীপুরের বিধায়ক

সূত্রের খবর, এর ফলে দূরত্ব যেমন মানা সম্ভব, তেমনি আবার একই জগতের মানুষ হওয়ায় মানসিক সাযুজ্যও থাকবে অন্যদের সঙ্গে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই একই ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ থেকে উঠে আসা মানুষের মধ্যে তালমেলটাও অনেক সহজে হয়। তা ছাড়া সব বিধায়ক তো আর সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হবেন এমনটা নয়। কেউ কেউ যেমন স্বাস্থ্যপরিষেবা নিয়ে বলবেন, তেমনই কারও কারও বক্তব্য থাকবে যুব, মহিলাদের উন্নয়ন নিয়ে। কেউ কেউ আবার একেবারে কলকাতাকেন্দ্রিক বিষয়ে কথা বলবেন। আর সার্বিক ভাবে বলার জন্য নেত্রী তো থাকছেনই। এ ছাড়াও দলের বর্ষীয়ান বিধায়করাও বলবেন। যদিও আপাতত কোভিড বিধি মেনেই এই বন্দোবস্ত বলে খবর। পরে তা বদলও হতে পারে।