Dengue in West Bengal: শহর হোক বা গ্রাম, ডেঙ্গি উদ্বেগ বাড়ছে গোটা রাজ্যেই, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের গণ্ডি পার
Dengue in West Bengal: রানাঘাট, আমডাঙা, বনগাঁ, চাকদা, কালিয়াচক, সিঙ্গুর, চন্তীতলার মতো একাধিক জায়গা বিগত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মোটের উপর গ্রামীণ এলাকগুলিতেই ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি। আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও।
কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরেই অচলাবস্থা আরজি কর মেডিকেল কলেজে। একদিন আগেই আবার তুমুল উত্তেজনা দেখা গিয়ছে কলকাতা পুরনিগমে। রীতিমতো হাতাহাতি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি কাউন্সিলরদের। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে নানা মহলে। একদিকে যখন প্রশাসনিক স্তরের এই অবস্থা চলছে তখন আবার গোটা রাজ্যে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে ডেঙ্গি। এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭২। তারমধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্ত ৪ হাজার ৯৫১। গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত ১০ হাজার ৩২১। মাঝেমধ্যেই আসছে মৃত্যুর খবর। একই ছবি জেলাতেও।
রানাঘাট, আমডাঙা, বনগাঁ, চাকদা, কালিয়াচক, সিঙ্গুর, চন্তীতলার মতো একাধিক জায়গা বিগত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মোটের উপর গ্রামীণ এলাকগুলিতেই ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি। আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও। চিকিৎসক শ্যামাসিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই মরসুমে দ্বিতীয়বারের জন্য ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক রোগীই আসছেন। আগেরবাবের থেকে রোগীর সংখ্যা দ্বিতীয় পর্যায়ে অনেকটাই বেশি। চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরী বলছেন, প্রথন চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে রোগীকে ও রোগীর চিকিৎসককে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হবে নাকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়টা আগে ঠিক করতে হবে। এরপরেও কী ভয় হবে না সাধারণ মানুষের? স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন নানা মহলে।
এদিকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর পরিচালিত একটি অনাথ আশ্রমের অনাথ আশ্রমে সাতজন পড়েছেন ডেঙ্গির কবলে। সাতজন ম্যালেরিয়ার কবলেও পড়েছেন। অনাথ আশ্রমের একাধিক জায়গায় মিলেছে ডেঙ্গির মশার লার্ভা। ঘটনায় নিজের দলের কাউন্সিলরের দিকে তোপ দেগেছেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। পাল্টা তোপ দেগেছেন ওই কাউন্সিলরও। সোজা কথায় ডেঙ্গি নিয়ে তরজা অব্য়াহত রয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে রাজ্য়ের ডেঙ্গির গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে কী করবে সাধারণ মানুষ? প্রশাসন কী তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারছে? পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।