Carbon Dumping: আকাশ থেকে দূষণ ধরে ‘জেলবন্দি’ করতে চান বাঙালি বিজ্ঞানী, কাজ শুরু IISER-র
Carbon Dumping: বিশ্বের বহু দেশই কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি, নিঃসরিত কার্বনকে ব্যবস্থা করছে 'জেলে ঢোকানোর'। আর যে কাজে সামিল হয়েছে ভারতও। তাও আবার বাঙালি বিজ্ঞানির 'বুদ্ধিতে'।

কলকাতা: যদি এই পৃথিবীর সব দূষণকে কোথাও বন্দি করে ফেলা যেত? এই ধরিত্রী হয়তো নিজের স্নিগ্ধতা আবার ফিরে পেত। এখন ঘরে ঘরে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট। তপ্ত তাপমাত্রায় সামর্থ্যের বাদবিচার ছেড়েই বাড়িতে বাড়িতে লেগে গিয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। দূষণ যদি বন্দি করে রাখা যেত এই সবের আর হয়তো প্রয়োজন পড়ত না। আর পৃথিবীটাও এতটা ‘ধূসর‘ হয়ে যেত না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দূষণের আসল কারণ কার্বন নিঃসরণ। এই নিয়ে চিন্তিত প্রায় প্রতিটি দেশই। যে কারণে ভারতেও তো ইতিমধ্য়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে পেট্রোল-ডিজেলে ইথানল মেশানো শুরু হয়েছে। এরপর যে কার্বনকে নিয়ন্ত্রণ করা যে সম্ভব হয়েছে। সেই কারণেই বিশ্বের বহু দেশই কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি, নিঃসরিত কার্বনকে ব্যবস্থা করছে ‘জেলে ঢোকানোর‘। আর যে কাজে সামিল হয়েছে ভারতও। তাও আবার বাঙালি বিজ্ঞানির ‘বুদ্ধিতে‘।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়ে কার্বনকে ‘জেলে ঢোকাতে‘ মহারাষ্ট্রের পুনের কাছে শুরু হয়েছে যাচাইয়ের কাজ। এলাকা খতিয়ে দেখছেন আইজার বিজ্ঞানিরা। এদিন IISER ভোপালের বিজ্ঞানী জ্যোতির্ময় মল্লিক বলেন, ধরা যাক কোনও একটি গ্যাস চেম্বার রয়েছে, তার চিমনি থেকে নির্গত কার্বনকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে মাটির নীচে। এই ভাবেই বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ধরে মাটির নীচে বন্দি করে ফেলা যাবে। যার ফলে অনেকটাই কমানো যাবে দূষণ। তবে গোটা প্রক্রিয়াটাই এখনও পরিক্ষণীয়। সাফল্য মিলবে দেশের বিজ্ঞান মহল দেখবে নতুন অধ্য়ায়।

