Fake note recover: বাংলার ‘বান্টি বাবলি’ অভিষেক-সুস্মিতার কীর্তি জানলে মাথা ঘুরে যাবে আপনার
Sandeshkhali: বাবলি' অর্থাৎ তিস্তা সেন ইতিমধ্যে পুলিশের জালে। বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বান্টি অর্থাৎ চক্রের মাথা অভিষেক তিওয়ারি এখনও পলাতক। পুলিশ জানাচ্ছে, 'বান্টি বাবলি গ্যাং' লোন দেওয়ার নামে রাজ্যে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।

কলকাতা: কয়েকদিন আগে সন্দেশখালির একটি গোডাউন থেকে প্রায় দশ কোটি টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। জাল নোটও নয়, খেলার নোটে স্বল্পসুদে লোন দেওয়ার ফাঁদ পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বাংলার নতুন ‘বান্টি বাবলি’ গ্যাং। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেশখালির হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার বান্ডিলের পুরোটাই জাল নোট। ছিল বাচ্চাদের খেলনা নোটও। পুলিশ জানিয়েছে, নোটের সবকটি বান্ডিল ভাল করে খতিয়ে দেখার পর ‘মনোরঞ্জন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ লেখা ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার খেলার নোট পেয়েছে তারা। আর ধৃতদের কাছে ছিল ৪০ হাজার টাকার জাল নোট ও ৫২ হাজার আসল নোট। এই নোট কারবারেই যুক্ত ছিল বান্টি বাবলি গ্যাং।
‘বাবলি’ অর্থাৎ তিস্তা সেন ইতিমধ্যে পুলিশের জালে। বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বান্টি অর্থাৎ চক্রের মাথা অভিষেক তিওয়ারি এখনও পলাতক। পুলিশ জানাচ্ছে, ‘বান্টি বাবলি গ্যাং’ লোন দেওয়ার নামে রাজ্যে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। কোনও কাগজপত্র ছাড়াই মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দশ, কুড়ি, তিরিশ কোটির বেশি অঙ্কের টাকা লোন দেওয়ার ফাঁদ পেতেছিল। এজেন্ট মারফত যে বা যারা যোগাযোগ করত তাঁদের ভিডিয়ো কলে প্রথমে কাগজের পেটি ভর্তি নোটের বান্ডিল দেখিয়ে দিত।
তবে লোন পেতে কোনও কাগজপত্র না লাগলেও, যে অঙ্কের লোন দেবে তারা তার এক শতাংশ প্রসেসিং ফি বাবদ দিতে হত। এই প্রসেসিং ফি পকেটে নিয়ে ভ্যানিশ হয়ে যাওয়াই আসল উদ্দেশ্য এই চক্রের।
সন্দেশখালি থেকে দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর আসানসোলের এক ব্যবসায়ী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, তাঁকে এই ৩০ কোটি টাকার খেলনা নোট দিয়ে ২২ লাখ টাকার প্রসেসিং ফি নিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা। সন্দেশখালিতেও তারা একজনকে সেই নোট সরবরাহ করতে এসেছিল।
এই চক্রে দেবব্রত চক্রবর্তী বলে একজন ছাপাখানা ব্যবসায়ী যুক্ত। যাকে তিস্তা ও অভিষেক জানিয়েছিল তারা একটি সিনেমা তৈরি করছে। সিনেমায় দেখানোর জন্য কিছু নকল নোট ছাড়তে হবে। সেই মতোই সাত কোটি আশি লাখ টাকা অঙ্কের খেলার নোট ছাপে অভিষেক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিষেক ও তিস্তা চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের সাইবার জালিয়াতি মামলাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার পরই লোন দেওয়ার নামে লোক ঠকানোর কাজ শুরু করে। পুলিশ জানাচ্ছে, এরা বান্ডিলের একদম উপরে আসল নোট, তার নিচে কয়েকটি জাল নোট এবং তারপরে বাকি সব খেলনা নোট দিয়ে তৈরি করত।

