Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bikash Ranjan on Bowbazar: পুরনিগম বা KMRCL নয়, বউবাজারের ফাটলে রুট বদলকেই কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন মেয়র

KMRCL: বিকাশ বাবু বলছেন, "পুরনো শহরে এমন ঘটনা হতে পারে। এর জন্য পুরনিগমকে দায়ী করা যায় না।"

Bikash Ranjan on Bowbazar: পুরনিগম বা KMRCL নয়, বউবাজারের ফাটলে রুট বদলকেই কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন মেয়র
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2022 | 5:39 PM

কলকাতা: মেট্রোর কাজের জন্য আবার দুর্ভোগে বউবাজার (Crack in Bowbazar) এলাকার বাসিন্দারা। পুজোর পর আবার মেট্রোর লাইনের (KMRCL) কাজ শুরু হতেই নতুন করে অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্গাপিতুরি লেনের ঘটনার কথা এখনও মানুষের মন থেকে আবছা হয়নি। তার মাসখানেক কাটতে না কাটতেই আবার বাড়িতে ফাটল। আবার শুরু হয়েছে পুরনিগম ও কেএমআরসিএল-এর চাপানউতোর। কিন্তু কেন বার বার এই সমস্যা? কেন বার বার ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ? টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি অবশ্য এক্ষেত্রে পুরনিগমের দোষ দেখছেন না। বিকাশ বাবু বলছেন, “পুরনো শহরে এমন ঘটনা হতে পারে। এর জন্য পুরনিগমকে দায়ী করা যায় না।”

তাহলে কি কেএমআরসিএল-এর সমস্যা? কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের কথায় অবশ্য, “কেএমআরসিএল-এর কাজ হচ্ছে। সেই কাজ করতে গিয়ে যেখানে যেখানে এই ফাটল হচ্ছে, সেখানে কেএমআরসিএল তৎপরতার সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, কেএমআরসিএল-এর উদ্যোগ আছে। সকলে মিলেই চাইছে (সমাধান করতে)।” বরং এই ঘটনার জন্য রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই দায় ঠেললেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মেট্রো রেলের প্রথম যে লে-আউটটি ছিল, সেই কাজটি হয়েছিল বুদ্ধবাবুর আমলে। মূল বিপদটি কোথায় হয়েছিল জানেন? তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁকে বসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রুট পাল্টাতে হবে। নাহলে অনুমোদন দেওয়া হবে না। সেই কারণে রুট পরিবর্তন করে এইরকম ঘিঞ্জি এলাকায় ঢোকা হল। তার অব্যর্থ পরিণতি এটা হল।”

তিনি আরও বলেন, “এখন যেটা করতে হবে, অবিলম্বে আপদকালীন অবস্থায় তৎপরতার সঙ্গে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কেএমআরসিএল এই বিষয়টি দেখছে, আমি জানি।” উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওই বাড়িগুলি থেকে মানুষদের বের করে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে। বাড়ি ১০০ বর্গফুটের হলে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। আরও বড় বাড়ি হলে, সেক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও কমছে না ঘরছাড়া মানুষদের অসন্তোষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন, তিনি রেলবোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চান।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বউবাজার এলাকায় বসবাস তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের। ২০১৯ সালের ফাটল বিপর্যয়ের সময় ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাপস বাবুকেও। বার বার এই ঘটনায় কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে কেন কোনও পোক্ত প্ল্যানিং নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, “কী করছে, না করছে, তা ওরাই জানে। এর স্থায়ী সমাধান কী, তা তো আমি বুঝে উঠতে পারছি না। সকলেই আতঙ্কিত। উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।” তিনি অবশ্য গোটা দায় ঠেলছেন মেট্রোর উপর। বললেন, “যাই হোক না কেন, দায়ী মেট্রো। ওদের নিশ্চিত করতে হবে, আর এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ওদের পুনর্বাসনের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।”