Birth and Death Certificate: বাড়িতে বসেই মিলবে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র! বড় সিদ্ধান্ত মেয়রের
Birth and Death Certificate: কাগজবিহীন পরিষেবা দেওয়া হবে পুরনিগমে। সেই জন্যই একের পর এক পরিকল্পনা করেছেন ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা : জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রের আবেদন বর্তমানে বাড়িতে বসেই করা যায়। আর এবার সেই শংসাপত্র পাওয়া যাবে বাড়িতে বসেই। শনিবার এমন পরিককল্পনার কথাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি জানান পুরনিগমকে সম্পূর্ণভাবে পেপারলেস বা কাগজবিহীন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শংসাপত্র নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পেপারলেস হবে পুরনিগম
ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কলকাতা পুরনিগম থেকে কাগজের ব্যবহার ক্রমশ সরিয়ে দেবেন তিনি। সবটাই হবে অনলাইনে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য ৪২ কোটি টাকা দিয়েছে পুরনিগমকে। এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এই বিষয়ে তিনি বৈঠক করবেন মেয়র পারিষদদের সঙ্গে। কথা বলবেন তথ্য ও প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গেও।
বাড়িতেই মিলবে বার্থ সার্টিফিকেট ও ডেথ সার্টিফিকেট
এই পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়েই ফিরহাদ হাকিম জানান, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট ও ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আর পুরনিগমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে সেই শংসাপত্র। যদিও এই বিষয়টা এখনও পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে বলেই জানান তিনি। মেয়র জানান বর্তমানে বাড়িতে বসে অনলাইনে ওই শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানানো যায়। পরে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই যাতে সেই শংসাপত্র পেয়ে যেতে পারেন কলকাতার মানুষ, সেই উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে।
শুধু শংসাপত্র নয়, কলকাতা পুরনিগমে রয়েছে একাধিক বিভাগ। সেই সমস্ত বিভাগই যদি কাগজবিহীন করে দেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা। বর্তমানে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। নয়া উদ্যোগে সেই সমস্যারও সমাধান হবে।
বর্তমানে পরিষেবা পাওয়া যায় হোয়াটসঅ্যাপে
জন্ম কিংবা মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাতে লাইনে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য গত বছরেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করে কলকাতা পুরনিগম। হোয়াটসঅ্যাপেই জানা যায় শংসাপত্র নিতে কখন আসতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৮৩৩৫৯৯৯১১১।
এ ছাড়া কলকাতার কোনও বাসিন্দার শেষকৃত্য কলকাতার বাইরে কোনও শ্মশানে হলে সে ক্ষেত্রে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সমস্ত কাগজপত্র এনে মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার তাড়াহুড়োতে ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল নাম লেখার নজিরও রয়েছে। পরে পুরসভায় গিয়ে ফর্ম ফিল আপ করে ড্রপবক্সে তা জমা দিয়ে নতুন সার্টিফিকেট নিতে হয়। তার জন্যও ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। হোয়াটসঅ্যাপে পরিষেবা চালু হওয়ার পর সেই হয়রানি কমেছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন : School Reopen: টিকা পেয়েছে ১৫ থেকে ১৮, শিক্ষা দফতর থেকে স্কুল খোলার প্রস্তাব গেল নবান্নে