কলকাতা: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে এপার বাংলাতেও। ফুঁসছে বিজেপি। একদিন আগেই চিন্ময়কৃষ্ণের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতায় বড় মিছিল করে ফেলেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। অন্যদিকে ওপারে আবার ভারতের বিরুদ্ধেও উঠছে লাগাতার স্লোগান। বড় অংশের সংখ্যালঘুদের ভারতের দালাল বলেও দেগে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে ফের হুঙ্কার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। দিলেন বড় হুঁশিয়ারি। সাফ বলছেন, কড়া উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।
ওপারে বেড়ে চলা ভারত ‘বিদ্বেষ’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাংলাদেশকে ইতিহাস মনে করাতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। মুক্তিযুক্তের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “তিন হাজার ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান রয়েছে। তখন কোথায় ছিলেন এরা? ৩০ হাজার বাঙালি হিন্দু আত্মবলিদান দিয়েছেন। তারপর একাত্তরের বিজয় এসেছে।” এরপরই তাঁর হুঙ্কার, “১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। কলকাতাতে মহাসমাবেশ থেকে বাংলাদেশের রাজাকার ও পাকিস্তানের চরদের সঠিক উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা এপার থেকে আসল ভারতীয়রা করবে।”
শুভেন্দুর সাফ কথা অবস্থা যে দিকে যাচ্ছে তাতে কড়া উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে। পাকিস্তানের দুরাবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আজকের বাজারে দেড়শো টাকা পেঁয়াজ। একশো কুড়ি টাকা আলু। পাকিস্তানের মতো অবস্থা হোক। এক হাজার টাকা লিটার পেট্রোল। চারশো টাকায় কেজি প্রতি আটা কিনতে হয়।” এমনকী বাংলাদেশের ভারতের প্রতি নির্ভরতার কথা মনে করিয়েও খোঁচা দিতে দেখা যায় তাঁকে। কটাক্ষের সুরেই বলেন, “ফারাক্কার উপর দিয়ে বিদ্যুত না গেলে ওখানে তো ৮০ ভাগ জায়গা অন্ধকার হয়ে যাবে।” এর আগে খানিক একই সুর শোন গিয়েছিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতে। পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “বাংলাদেশে যেটা হয়েছে, সেটা কাম্য নয়। বাংলাদেশ বাংলার একটা অংশ। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে থাকি। বাংলাদেশে এর আগে যে সরকার ছিল, তারা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে ছিল বলে পরিস্থিতি অনেক ভাল ছিল। ধর্মান্ধতায় পাকিস্তানের মতো অন্ধকারে চলে যেতে হবে।”