Asansol Municipal Election: ‘বিজেপি চালাচ্ছে জেকে কোম্পানি,’ ভোটের আগে ঘাসফুলে আশ্রয় ‘বিক্ষুব্ধ’ সুদীপ, সুধার
TMC and BJP: ভারতীয় জনতা পার্টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কাছে। এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন সুদীপ চৌধুরী, সুধা দেবীরা।
আসানসোল: আসানসোল বিজেপি এখন চালাচ্ছে ‘জেকে কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড’। ভারতীয় জনতা পার্টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কাছে। এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন সুদীপ চৌধুরী, সুধা দেবীর মত আসানসোল বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।
মনমতো ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পেরে মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে মণ্ডল সভাপতি পদ ছাড়া এবং পুরভোটে দলের হয়ে কাজ না করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরী। এবার শনিবার সেই বিজেপি নেতা দলবদল করে তৃণমূলে কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপি ছাড়লেন আরেক নেতা।
পদ্ম শিবিরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ঘাসফুলে এলেন বিজেপির জেলার প্রাক্তন সম্পাদক সুধাদেবী সহ সভানেত্রী তনুজা সিনহা, মহিলা মোর্চার মণ্ডল সভানেত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়, বুথ সভাপতি জয়প্রকাশ কেশরি-সহ বহু কর্মী ও সমর্থক। আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআরে তৃণমূল ভবনে এক অনুষ্ঠানে সুদীপবাবু ও সুধাদেবীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। ছিলেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক।
এদিন দলবদল করেই সুদীপ চৌধুরী ও সুধা দেবী পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের ক্ষোভ মূলত আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে মলয় ঘটকের কাছে হেরে যাওয়া কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে আক্রমন করেন তাঁরা। ক্ষোভের সঙ্গে তাঁরা বলেন, “কত বছর ধরে বিজেপি দলটা করলাম! আগে যে জায়গায় ছিলাম, এখনও সেই জায়গাতেই আছি। অথচ, যারা নতুন এল তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরছে!”
সুদীপ চৌধুরী বলেন, “একটা ওয়ার্ডে দল করে সংগঠন গড়ে তুললাম। বললাম, সেখানে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু আমার মতো পুরনো কর্মীর কথা গুরুত্ব পেল না। অন্য ওয়ার্ডে আমার মত না নিয়ে প্রার্থী করা হল। আসানসোলের বিজেপি এখন জেকে (জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়) কোম্পানি হয়ে গিয়েছে”। এর পর তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “পুরভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজন পোষণ করা হয়েছে। একজনের স্ত্রী, তাঁর গাড়ির চালক, সঙ্গে থাকা সবাই টিকিট পেল।” আবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের কথার সুর শোনা গেল সুদীপ চৌধুরীর অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে অর্থ ও নারী প্রাধান্য পেয়েছে। এইসব কারণের জন্য তিনি দল ছেড়েছেন।
আর এই যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “সুদীপ চৌধুরীরা দলের আসায় সংগঠন বাড়বে। শুধু এঁরা নন, বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
অন্যদিকে, সুদীপ চৌধুরীদের আক্রমন প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “দল ছেড়ে গেলে সবাই এই কথাই বলে। আর আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলবে, তৃণমূল কংগ্রেসে তার গুরুত্ব তত বাড়বে। সুদীপ চৌধুরীকে দল তো একটা ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল। সেটা তার পছন্দ হয়নি। দল তার জন্য কী করবে?” তিনি আরও বলেন, “দলের প্রার্থী কারা ঠিক করে, তা সবাই জানে। অভিযোগ যে কেউই করতে পারে”।
আরও পড়ুন: Asansole Municipal Election: ফের পুলিশি বাধা মিছিলে, রাস্তায় বসে পড়ে দিলীপ বললেন, ‘আমি আর কী করব?’