Bowbazar: মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারের আর কি কোনও বাড়ি ভাঙা হবে? কী উল্লেখ যাদবপুরের গবেষকদের রিপোর্টে

Bowbazar: সুড়ঙ্গ বিপর্যয় যে অংশে হয়েছে, সেখান থেকে ভূপৃষ্ঠের উপরে থাকা অংশ প্রায় ৪০ মিলিমিটার বসে গিয়েছে। অর্থাৎ যে কোনও সময় ধস নামতে পারে।

Bowbazar: মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারের আর কি কোনও বাড়ি ভাঙা হবে? কী উল্লেখ যাদবপুরের গবেষকদের রিপোর্টে
বউবাজারে বাড়িতে ফাটল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 3:08 PM

কলকাতা: বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য আর কোনও বাড়ি কি ভাঙা হবে? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিলই। এবার তা স্পষ্ট করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যা সিদ্ধান্ত হবে সব রিপোর্টের ভিত্তিতে। কেএমআরসিএল ও ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে রিপোর্ট আদান প্রদানের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলকাতা পৌরনিগমকে ইতিমধ্য়েই দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলির হাল হকিকত নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই এলাকার ৯টি বাড়িতে ফাটল বেশ গুরুতর। এই ফাটল মেরামতিযোগ্য নয়। ফলে অদূর ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। সব মিলিয়ে ১৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভাঙা হতে পারে বলে কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর।

রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গ বিপর্যয় যে অংশে হয়েছে, সেখান থেকে ভূপৃষ্ঠের উপরে থাকা  প্রায় ৪০ মিলিমিটার অংশ বসে গিয়েছে। অর্থাৎ যে কোনও সময় ধস নামতে পারে। এছাড়াও ভূগর্ভের ভিতরে মাটির অবস্থা প্রকৃত তথ্য এখনও দেয়নি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই তথ্য দিতে আর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। যে কারণে কেএমআরসিএল – এর থেকে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। তবে বৃষ্টি হলে মাটির নীচে থাকা বিভিন্ন ওয়াটার পকেট থেকে জল বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল। যে কারণে এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের বউবাজার অংশে জয়েন্ট বক্সের নীচে কংক্রিটের প্লেট বাকি থাকা অংশে বসানোর বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন সিভিল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপকরা। মাটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। যে কারণে ভূপৃষ্ঠ বসে যাচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্গা পিতুরি লেনে দফায় দফায় গিয়ে বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকার প্রত্যেকটা বাড়ির স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেএমআরসিএল ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন। সমীক্ষার দায়িত্ব বর্তায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওপরেই। দফায় দফায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সব খুঁটিনাটি তথ্য যাচাইয়ের পর রিপোর্ট তৈরি করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা।