Bratya Basu On Dev: ‘বাংলায় কোনও সুপারস্টার নেই’, দেব-কুণালের বাগযুদ্ধে এবার আসরে ব্রাত্য
Bratya Basu On Kunal and Dev Conflict: অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে বেশি শো পাওয়া। এক্ষেত্রে দেবকে মাফিয়া বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "ছবি রিলিজের আগে উদারতা দেখালেই তো ভাল হয়। ছবি রিলিজের পর আমি কত উদর, সেটা দেখানো, সময় সময় বেছে বেছে উদার হওয়া সমস্যা।"

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “দেব-কুণালের কী লড়াই হয়েছে, আমি জানি না। চারটেই বাংলা ছবি, চারটেই যদি ব্যবসা করে, খুবই ভাল। বাকি যেটা রাজনৈতিক অ্যাঙ্গেল রয়েছে, সিনেমার যাঁরা সুপারস্টার, তাঁরা কখনও অন্য দলে, অন্য নেতানেত্রীর অধীনে রাজনীতি করেননি। তিনি কমল হাসানও হতে পারেন, কিংবা চিরঞ্জীবী হতে পারেন। তামিলনাড়র বিজয়ও (বিজয় দেবেরাকোন্ডা) হতে পারেন।”
কথা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “যিনি সত্যিকারের সুপারস্টার, তিনি নিজের দল গড়বেন। ধরুন তৃণমূল কংগ্রেসে যদি কেউ সুপারস্টার হয়ে থাকেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অধীনে অনেকে কেউ সিনেমা করেন, কেউ থিয়েটার করেন, কেউ চিত্রশিল্পী, কিংবা কেউ ডাক্তার। কেউ সুপারস্টার নন। তাই বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে সুপারস্টার কথাটা হাস্যকর কনস্ট্রাকশন। ভাল অভিনেতা রয়েছে, স্টারও থাকতে পারেন, সুপারস্টার কেউ নেই।”
নিজের প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, “আমি থিয়েটার করি, এদিকে রাজনীতিতে থাকি, তারপর বলি আমি সুপারস্টার, এর থেকে হাস্যকর দ্বিচারিতা আর কিছু হতে পারে না।” উল্লেখ্য, এই দুর্গাপুজোয় চারটে বাংলা সিনেমা একসঙ্গে রিলিজ করেছে। তা নিয়ে কুণাল ঘোষ বনাম দেব, কিংবা দেবের ঘনিষ্ঠ প্রযোজকরা বাগযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
একপাশে দেবের ‘রঘু ডাকাত’, অন্যদিকে ‘রক্তবীজ-২’। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। রক্তবীজ ২ নিয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে কুণালকে। এদিকে, দেবের হয়ে লড়ে গিয়েছে প্রযোজক রানা সরকার।
কিন্তু কী কারণে দেবের বিরুদ্ধে রাগ? কী অভিযোগ?
অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে বেশি শো পাওয়া। এক্ষেত্রে দেবকে মাফিয়া বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “ছবি রিলিজের আগে উদারতা দেখালেই তো ভাল হয়। ছবি রিলিজের পর আমি কত উদর, সেটা দেখানো, সময় সময় বেছে বেছে উদার হওয়া সমস্যা। যারা চেষ্টা করছে, তাদের সকলকে সমানভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছাতে দেওয়াই কাম্য। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ভিতরেই যদি রাজনীতি হয়, সেটা অনুচিত।”
যদিও দেবের বক্তব্য ছিল, “কাউকে ছোট করে বড় হতে পারব না। এই প্রচেষ্টা কোনওদিনও করিনি। বন্ধু হতে যোগ্যতা লাগে, শত্রু হতেও যোগ্যতা লাগে। আমার শত্রু হতেও যোগ্যতা লাগবে। আমার মনে হয়, এখনও কেউ সেই জায়গায় পৌঁছায়নি।” এই বিতর্কের মাঝেই এবার ঘৃতাহুতি করেছেন ব্রাত্য। চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটের বাইরে গিয়ে এই বিতর্ক সরাসরি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই টেনে এনেছেন।
