Busiest Rail Station: ভারতের ব্যস্ততম রেল স্টেশন, আপনিও হয়তো গিয়েছেন সেখানে, কিন্তু জানতেন কি?
Howrah Junction: সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় দেখা যায় যে স্টেশনে, সেটা কিন্তু কোনও ভাবেই মুম্বইয়ে নয়। মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় স্টেশন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস থেকে প্রায় ১ হাজার ৯৬০ কিলোমিটার দূরের হাওড়া জংশনই দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশন।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হল আমাদের দেশের রেল নেটওয়ার্ক। আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার পরই স্থান ভারতের। সোজা কথায় বললে ভারতীয় রেল, ভারতের লাইফলাইন। কারণ, ভারতে ট্রেনের টিকিটের মূল্য সবচেয়ে কম। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে হাজার হাজার ট্রেন। এ ছাড়াও চলে কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রেনও। কিন্তু জানেন কি আমাদের দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত রেল স্টেশনও কোনটি? এটা কি ভারতের ব্যস্ততম সাব-আর্বান নেটওয়ার্ক অর্থাৎ মুম্বইয়ের আশেপাশে কোনও স্টেশন? বা দিল্লি?
শহরের সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে মুম্বইয়ের সাব-আর্বান নেটওয়ার্ক। সবচেয়ে বেশি প্যাসেঞ্জার এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় দেখা যায় যে স্টেশনে, সেটা কিন্তু কোনও ভাবেই মুম্বইয়ে নয়। মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় স্টেশন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস থেকে প্রায় ১ হাজার ৯৬০ কিলোমিটার দূরের হাওড়া জংশনই দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশন।
১৮৫৪ সালে চালু হওয়া হাওড়া স্টেশন দেশের প্রাচীনতম স্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে হাওড়া স্টেশনে রয়েছে ২৩টি প্ল্যাটফর্ম। আমাদের দেশে আর কোনও স্টেশনে এত সংখ্যক প্লাটফর্ম নেই। প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি ট্রেন এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করে। আর যাত্রী সংখ্যা? প্রতিদিন ১০ লক্ষেরও বেশি! এই বিপুল ভিড় হাওড়াকে পূর্ব ভারতের লাইফলাইন করে তুলেছে।
দেশের একাধিক বড় বড় স্টেশন থাকার পরও হাওড়া স্টেশন এত ব্যস্ত কেন? এমনকি কলকাতায় আরও এক স্টেশন শিয়ালদহও দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। কিন্তু হাওড়াই কেন সবচেয়ে ব্যস্ত? এর কারণ জানতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে হাওড়া স্টেশন শুধুমাত্র একটি ডিভিশন বা জোনের অধীনে আসে না। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের প্রান্তিক স্টেশন হল হাওড়া। আর এই দুই রুট হল ভারতের সোনালী চতুর্ভূজের দুটি বাহু। ফলে, এই দুই রুটেই ট্র্যাফিক অত্যন্ত বেশি। আর সেই কারণেই, হাওড়া দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত স্টেশন।
হাওড়া স্টেশন কলকাতাকে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো দেশের প্রায় সব বড় শহরের সঙ্গে যুক্ত করে। শুধু দূরপাল্লার ট্রেনই নয়, শহরতলীর লক্ষ লক্ষ নিত্যযাত্রীর ভিড়ও সামলাতে হয় এই স্টেশনকে। যা হাওড়া স্টেশনের ব্যস্ততা আরও বাড়িতে দেয়।
দেশের অন্যান্য বড় স্টেশন যেমন দিল্লি বা মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসও খুব ব্যস্ত। তবে যাত্রী ও ট্রেনের সংখ্যায় হাওড়া সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। রবীন্দ্র সেতুকে সাক্ষী রেখে শতাব্দী প্রাচীন এই স্টেশন শুধুমাত্র দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র নয়, এটি আমাদের জাতীয় গর্ব।
