Calcutta High Court: ‘…মনে হয় ইচ্ছে করেই ব্যবস্থা নেয়নি’, পুরসভার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি
Calcutta High Court: বেআইনি হোর্ডিং সনাক্তকরণ করে মুক্ত করার আর্জি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর নাম দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শুনানিতে রাজ্য রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই এলাকায় ৩৫১ টি বেআইনি হোর্ডিং আছে।
কলকাতা: বিধাননগর এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। ‘বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে পুরসভা কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি? সেটা স্পষ্ট নয় আদালতের কাছে। এত বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে দেখেও কিছু করেনি পুরসভা, মনে হয় ইচ্ছে করেই ব্যবস্থা নেয়নি’ মন্তব্য প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। আগামী দু’দিনের মধ্যে সব বেআইনি হোর্ডিং খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। রিপোর্ট দিতে হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
বেআইনি হোর্ডিং সনাক্তকরণ করে মুক্ত করার আর্জি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর নাম দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শুনানিতে রাজ্য রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই এলাকায় ৩৫১ টি বেআইনি হোর্ডিং আছে।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, “৩৫১ টি হোর্ডিং বেআইনি হলে কেন খুলে ফেলছেন না? নোটিস দিন। ওদের নিজেদেরই খুলতে বলুন।” রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, “এজেন্সিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন।” প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন,”এরপরেও না খোলা হলে গ্রেফতার করুন।”
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “নিয়ম না মানলে গ্রেফতার করা যেতে পারে। বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা যেতে পারে। ছয় মাসের জেল হতে পারে। প্রায় দুহাজার হোর্ডিং আছে ওই এলাকায়। মুম্বইতে হোর্ডিং পড়ে ষোলো জনের মৃত্যু হয়েছে।” রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক।” এরপর ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “আপনারা নিজে স্বীকার করছেন তাও কাজ না করলে মনে হয় ইচ্ছে করেই করছেন। । হয় তার মধ্যে হয় ওই এজেন্সিগুলি তুলুক নাহয় পুরসভা হোর্ডিং মুক্ত করুক।”