Calcutta High Court: জেলে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে কড়া হাইকোর্ট, রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার বসানোর নির্দেশ
Calcutta High Court: আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করে রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে (Correctional Home) আরও কড়াকড়ি করতে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সংশোধনাগারের ভিতরে বন্দিদের মোবাইলের ব্যবহার রুখতে রাজ্যের সব সংশোধনাগারে এবার জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে মাদক মামলায় ধৃত দুই অভিযুক্তের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করে রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি বাগচি ও বিচারপতি গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, বন্দিদের আদালত থেকে সংশোধনাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর, আগে তাদের গোটা দেহ ওই ফুল বডি স্ক্যানার মেশিনে তল্লাশি করতে হবে। মোবাইল কিংবা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যাতে সংশোধনাগারের ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে কারা দফতরকে। এদিন এই মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টকে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য কারা দফতরের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করে আদালত। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রথমে কড়া পদক্ষেপের লিখিত নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও পরে রাজ্যের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক হেভিওয়েট নেতা জেলবন্দি রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে গতকালই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। তাঁর দাবি ছিল, জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন অনুব্রত। এমনই এক পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। মুর্শিদাবাদের একটি মাদক সংক্রান্ত মামলায়, জেলের মধ্যে বন্দিদের মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, ‘নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা ভীষণভাবে দরকার। জেলের সাধারণ কয়েদিদের পরিবার যখন দেখা করতে যান, তখন তাঁদের একটু হয়ত হয়রানি হবে। কিন্তু জেলটাকে তো তামাশা হিসেবে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার এটিকে তামাশা বানিয়ে দিয়েছে।’ হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষও।