মামলাকারীর গালিগালাজ শুনছেন আইনজীবীরা, দুই হাইভোল্টেজ মামলায় নাজেহাল দশা হাইকোর্টের

Calcutta High Court: অন্য মামলাগুলি সময় মতো শুনতে পারছেন না বিচারপতিরা। যার জেরে জামিন মামলার ক্রমশ পাহাড় জমছে বিচারপতিদের ঘরে।

মামলাকারীর গালিগালাজ শুনছেন আইনজীবীরা, দুই হাইভোল্টেজ মামলায় নাজেহাল দশা হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 9:26 PM

শ্রাবন্তী সাহা: ভোট পরবর্তী হিংসা ও নারদা মামলার জেরে নাজেহাল দশা আদালতের। হাইকোর্টে আপাতত হাইভোল্টেজ এই দুই মামলায় বসেছে বৃহত্তর বেঞ্চ। ফলে এই বেঞ্চের বিচারপতিরা তাঁদের অন্য মামলাগুলি সময় মতো শুনতে পারছেন না। যার জেরে জামিন মামলার ক্রমশ পাহাড় জমছে বিচারপতিদের ঘরে।

বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর দিয়েই হাইকোর্টে দায়ের হয় ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। তার কিছুদিন পরেই হয় নারদ মামলা। উভয় মামলাই বেশ ওজনদার। তাই দু’টি মামলাতেই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন আবার জামিন ও জামিনের বিরোধিতা-দুই ধরনের মামলাই শুনছেন। সমস্যা বেঁধেছে এখানেই। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, শুধু ২০২১ সালে দায়ের হয়েছে এমন ২৪৩৭টি মামলা রয়েছে হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে। এর মধ্যে শুধু জামিন মামলাই ৫৯৯টি। সোমবার যার মধ্যে ৩৬টি মামলা শুনতে পেরেছেন তিনি।

গত মে মাসে টানা নারদা মামলায় সারাদিন সময় দিতে হয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে। তারপরেই শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। ২০২১-এর আগের মামলাগুলি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী শুনছেন। কিন্তু জামিন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মামলাকারী এবং আইনজীবী দু’পক্ষই। আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় জানান, ফ্রেবরুয়ারি মাসে দায়ের করা মামলার বেশিরভাগই শুনানি হয়নি। মামলাকারীরা গালিগালাজ পর্যন্ত করছেন। আবার করোনার জেরে প্রচুর মামলা আসাও বন্ধ। ফলে আর্থিকভাবেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

শুধু এই দু’টো মামলাই নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা নন্দীগ্রাম মামলা শুনছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। সেই মামলা টানা চললে ব্যাহত হবে সেই ঘরে থাকা বাকি পঞ্চায়েত মামলাগুলি। একই অবস্থা বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চের। সেখানে মিঠুন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর মামলার চাপে অন্য মামলার বেহাল দশা।

অন্যদিকে, টানা মাসখানেক শুনানির পর শেষ হয়েছে বিনয় মিশ্র মামলা। মামলাকারীদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি বিনয় মিশ্র মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-কে একহাত নেন। একটাই মামলা দিনের পর দিন চলতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এই সমস্যার জন্য অনেকেই হাইকোর্টে বিচারপতি সংকটের কথা তুলে ধরছেন। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে ৩১ জন বিচারপতি রয়েছেন। যদিও মোট বিচারপতির সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ৭২। আরও পড়ুন: মুকুলের বিরুদ্ধে জোড়া মামলার প্রস্তুতি বিজেপির, চাপ বাড়ছে ‘চাণক্য’র?