Arjun Singh: কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না! হাইকোর্টের কাছে ‘রক্ষাকবচ’ পেলেন অর্জুন
Calcutta High Court on Arjun Singh: সম্প্রতি নেপালে হওয়া গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলা প্রসঙ্গ টেনে ছিলেন অর্জুন সিং। হিমালয়ের কোলের ওই ছোট্ট দেশটির মতোই বাংলাকেও উত্তাল হতে হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন সরকার ফেলে দেওয়ারও। এরপরেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১০টি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এছাড়াও, এই সময়কালে আরও নানা ইস্যুতে ব্যারাকপুুর পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক থানায় মোট ৫৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

কলকাতা: হাইকোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচ পেলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। মঙ্গলবার পুলিশি গ্রেফতারি থেকে বিজেপি নেতাকে ‘রক্ষা’ করল কলকাতা হাইকোর্টে শম্পা দত্তের বেঞ্চ। কিন্তু হঠাৎ করে এই রক্ষাকবচের কারণ কী? আর বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে কেনই বা উদ্যত্ত হয়েছিল রাজ্য পুলিশ?
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত বিভিন্ন থানায় অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রায় অর্ধশত এফআইআর-এর ভিত্তিতে এই রক্ষাকবচ প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি, এই FIR-গুলিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এদিন ছিল যার শুনানি। সেখানেই প্রাক্তন সাংসদকে রক্ষা করলেন বিচারপতি শম্পা দত্ত।
বিতর্কিত মন্তব্য
সম্প্রতি নেপালে হওয়া গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলা প্রসঙ্গ টেনে ছিলেন অর্জুন সিং। হিমালয়ের কোলের ওই ছোট্ট দেশটির মতোই বাংলাকেও উত্তাল হতে হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন সরকার ফেলে দেওয়ারও। এরপরেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১০টি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এছাড়াও, এই সময়কালে আরও নানা ইস্যুতে ব্যারাকপুুর পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক থানায় মোট ৫৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি সেই FIR-গুলির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং। বিচারপতি শম্পা দত্তের বেঞ্চে ওঠে মামলা। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ ছিল শুনানি।
কী বলল আদালত?
আপাতত অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া FIR-র ভিত্তিতে আগামী ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। ওই দিনই আবার মামলার পরবর্তী শুনানি। আর ততদিন পর্যন্ত ‘নিশ্চিন্ত’ অর্জুন।
