AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bus Service: পারমিট ছাড়াই বাস চলছে কী করে? রাজ্যর ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

Calcutta High Court: প্রধান বিচারপতি শহরের বাস পরিষেবা প্রসঙ্গকেও সাননে রেখে মন্তব্য করেন, 'অন্যান্য রাজ্যের লোকাল বাসে পর্যন্ত ফ্যান লাগানো থাকে। আমার রাজ্যে আসুন দেখবেন কীরকম বাস সার্ভিস।' আদালত জানায়, শুধু ফাইন করে ছেড়ে দিলেই চলবে না। দেখতে হবে আবারও সেই বাস এই রুটে ঢুকছে কি না।

Bus Service: পারমিট ছাড়াই বাস চলছে কী করে? রাজ্যর ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2024 | 11:51 PM
Share

কলকাতা: রুটের কোনও পারমিট নেই, অথচ বহাল তবিয়তে চলছে বাস। কলকাতা, বাবুঘাট এলাকায় এরকমই একাধিক বাস চলাচল করছে বলে অভিযোগ গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীর আর্জি ছিল, এখানে কত সংখ্যক পারমিটহীন বাস চলে আদালতে তাঁর বিস্তারিত রিপোর্ট দিক রাজ্য। সেই মামলায় আগেই রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল আদালত। কিন্তু তারা তা নেয়নি বলে এবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। শুধুমাত্র শোকজ ও ফাইন করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, শুধু শোকজ করলে চলবে না। কড়া ব্যবস্থাও নিতে হবে। দরকার পড়লে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে বলেও মন্তব্য আদালতের।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই প্রধান বিচারপতি বলেন, বাসে জিপিএস লাগানোর ব্যাপারে পরিবহণ দফতর কী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তা আদালতকে জানাতে হবে। প্রধান বিচারপতি শহরের বাস পরিষেবা প্রসঙ্গকেও সামনে রেখে মন্তব্য করেন, ‘অন্যান্য রাজ্যের লোকাল বাসে পর্যন্ত ফ্যান লাগানো থাকে। আমার রাজ্যে আসুন দেখবেন কীরকম বাস সার্ভিস।’ আদালত জানায়, শুধু ফাইন করে ছেড়ে দিলেই চলবে না। দেখতে হবে আবারও সেই বাস এই রুটে ঢুকছে কি না।

পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহণ দফতরকে অনুসন্ধান করে দেখতে বলা হয়েছে, কাদের ইন্টার স্টেট অনুমোদন রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য পরিবহণ দফতরের সচিব ও ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিককে নিয়ে কমিটিও তৈরি করা হয়। এদিন তারা রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ৭৪ জনকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, শোকজের পর তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রিপোর্টে উল্লেখ নেই কেন?