AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘কতদিন লাগবে ৫৩টা ফাইল ছাড়তে?’, রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

Calcutta High Court: বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, "আমাদের জেলা ও হাইকোর্টে কর্মীর প্রয়োজন। আপনাদের কাগজ পাঠানো আছে। আপনাদের দু'জন অফিসার সমন্বয়ের জন্য দেওয়ার কথা প্রশাসনিক বৈঠকে বলা হয়েছিল। যাঁরা পেনশন-সহ ব্যাপারগুলো দেখবেন। তার কী হল?"

Calcutta High Court: 'কতদিন লাগবে ৫৩টা ফাইল ছাড়তে?', রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2025 | 6:46 PM
Share

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলির ১৪টি প্রকল্পের বকেয়া ৫০ কোটি টাকা ছাড়ার জন্য অর্থ দফতরের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টে এই বলে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাতে অবশ্য বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি রাজ্য। কারণ বিচার বিভাগের থেকে আরও ৫৩ টি ফাইল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। সেই ফাইলগুলির কবে ব্যবস্থা হবে, তাই নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নে সাতদিন সময় চান মুখ্যসচিব। তবে রাজ্যের কোনও জেলায় নিয়মিত খরচের ফান্ড না থাকা নিয়ে মুখ্যসচিবকে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।

এদিন বিচারপতি বসাক বলেন, “যাবতীয় জেলা আদালতগুলিকে পাঁচ লাখ টাকা প্রশাসনিক কাজের জন্য দেওয়ার কথা। আড়াই লাখ দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা শেষ। বকেয়া টাকা মেটানোর কোনও লক্ষণ নেই। জেলায় নেট সিস্টেম বসে গিয়েছে। সেই কাজ করা যাচ্ছে না। স্টেশনারি কেনারও টাকা নেই কোনও জেলায়। আন্দামানে একমাত্র আছে। সেটা আপনাদের মধ্যে পড়ে না।”

মুখ্যসচিবের কাছে এদিন বিচারপতি বসাক জানতে চান, পেপারলেস হাইকোর্ট করার ব্যাপারটা কি হল? ফেব্রুয়ারি থেকে সেটা আটকে আছে। জবাবে মুখ্যসচিব বলেন, “সেটা আমরা দ্রুত করে দেব। আমরা ক্লোজ মনিটর করছি।” বিচারপতি বলেন, “আমাদের জেলা ও হাইকোর্টে কর্মীর প্রয়োজন। আপনাদের কাগজ পাঠানো আছে। আপনাদের দু’জন অফিসার সমন্বয়ের জন্য দেওয়ার কথা প্রশাসনিক বৈঠকে বলা হয়েছিল। যাঁরা পেনশন-সহ ব্যাপারগুলো দেখবেন। তার কী হল?”

বিচারপতির প্রশ্নে মুখ্যসচিব বলেন, “এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা আটকে আছে। পে কমিশন নিয়ে একটা মামলা চলছে।” বিচারপতি জানতে চান, “কী মামলা? আমরা জানি না। আপনার মনে হচ্ছে না, এমন নজরদারি বাঞ্ছনীয় নয়। কতদিন লাগবে ৫৩টা ফাইল ছাড়তে?” মুখ্যসচিব তখন হাইকোর্টের কাছে ৭ দিন সময় চান। তিনি বলেন, “৭ দিন সময় দিন। আমি গোটা ব্যাপারটায় নিজে নজর রাখছি।” ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আপনি নিশ্চিত করুন আগামী শুনানিতে যেন আমাদের আপনাকে আর ডাকতে না হয়।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর।