Private School Fees: স্কুলের ফি নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: নতুন করে বাড়ানো হয়েছে বেতন। অতিরিক্ত সেই টাকা দিতে নারাজ অভিভাবকেরা।
কলকাতা: বেসরকারি স্কুলের (Private School) ফি (Fee) নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। একইসঙ্গে পরীক্ষায় বসার সুযোগও দিতে হবে। পড়ুয়াদের ন্যুনতম অধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। স্কুল ফি মামলায় বেসরকারি স্কুলগুলিকে এই নির্দেশই দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যদিও হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সক্ষম অভিভাবকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ইতিবাচকভাবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলের বকেয়া ফি মিটিয়ে দেন। অনেক ক্ষেত্রে বেতন পুরোপুরি না মেটানোয় পড়ুয়াদের ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না বা পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই বিষয়েই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।
বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে এ দিন একদিকে স্কুল ও অন্যদিকে অভিভাবকরা অভিযোগ জানান। স্কুলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বকেয়া বেতন মেটাচ্ছেন না অভিভাবকেরা। অন্যদিকে, অভিভাবকদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মতো ৮০ শতাংশ বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বেতন বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি অভিভাবকদের। আর তার প্রতিবাদ জানানোর পরই অনেক পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।
অভিভাবকেরা জানান, কারও কারও হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষাও আটকে দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, সব পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে স্কুলগুলিকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে বলে জানায় আদালত। তবে বর্ধিত বেতন নিয়ে কিছু জানায়নি আদালত।
বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বকেয়া ফি জমা করার জন্য আগেই ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় আদালত জানিয়েছিল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে পড়ুয়াদের বয়েকা ফি এখনও বকেয়া রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। তবে আদালতের কঠোর নির্দেশ দিল, যে সকল পরিষেবা লকডাউন চলাকালীন স্কুল দিতে পারেনি, সেই সংক্রান্ত কোনও ফি-ও নেওয়া যাবে না।
হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতি হলেও সরকারি চাকুরে যারা এবং যাদের সামর্থ্য আছে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া উচিত। সব পক্ষ তাদের হলফনামা জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
আদালতের কাছে অভিযোগ আসে যে বেসরকারি স্কুলগুলি যে সমস্ত পরিষেবা দিচ্ছে না, তারও পরিষেবা বাবদ করে মাসিক ফি হিসাবে ধার্য করে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে বিদ্যালয়গুলিতে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সেই বিল অভিভাবকদের কাছে পাঠাতে হবে। কী সংক্রান্ত ফি নেওয়া হচ্ছে, সেটাও উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, গত শিক্ষাবর্ষের পরিকাঠামো অনুসরণ করেই এই বছর ফি ধার্য করতে হবে স্কুলকে।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভাঙল গাছ, ভাসল ল্যাম্পপোস্ট! উদয়নারায়ণপুরে বিপদের মুখে TV9-এর প্রতিনিধি