CBI: ‘আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে CBI-এর ফোন এল…’, এবার কি নতুন অভিযোগ?
CBI: সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে যে তাঁর প্রায় প্রতিনিয়ত কথা হত, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন অঞ্জন অধিকারী। তিনি জানান, সুদীপ্ত রায় তাঁরই কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।
কলকাতা: সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তদন্তকারীদের হাতে আসছে একের পর এক সূত্র। সেই সব সূত্র ধরে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা, একাধিক ব্যক্তিকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি-কে। আর এবার ভরসন্ধ্যায় সিবিআই দফতরে হাজির হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারী।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের সূত্রেই এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের নামও সামনে আসছে। আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও আরজি করের মতো দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ, আর সেই অভিযোগেই নাম জড়িয়েছে সুদীপ্ত রায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের পাশাপাশি ইডি, সিবিআই-এর কাছেও গিয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগপত্রে কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারীর নাম রয়েছে।
এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় অঞ্জন অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, : আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে সিবিআই দফতর থেকে ফোন আসে। আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। বলা হয়, সম্ভব হলে আমি যেন সিবিআই দফতরে আসি। সঙ্গে সঙ্গে আমি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে আসি। ওরা কয়েকটা কল রেকর্ড ধরে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এই খবরটিও পড়ুন
সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে যে তাঁর প্রায় প্রতিনিয়ত কথা হত, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন অঞ্জন অধিকারী। তিনি জানান, সুদীপ্ত রায় তাঁরই কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই হাসপাতালের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে প্রায়ই কথা হত। তবে শুধু অঞ্জন অধিকারী নয়, কল লিস্ট দেখে একাধিক চিকিৎসকের ডাক পড়ছে বলে সূত্রের খবর।