Hospital: রেফার গেরোয় মেলেনি চিকিৎসা, ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে ৮ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পরিবার!

Cancer Patient: ভুগছেন দূরন্ত ক্যান্সারে (Cancer)। চিকিৎসার (Treatment) জন্য কলকাতায় ছুটে এসেছিলেন সেই উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে। কিন্তু মহানগরের একের পর এক হাসপাতালে রেফার হয়েও কোথাও ভর্তি হতে পারলেন না বছর ৩৬ - এর গুনাই সোরেন।

Hospital: রেফার গেরোয় মেলেনি চিকিৎসা, ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে ৮ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পরিবার!
শুধু একের পর এক হাসপাতালে ছুটে যাওয়া। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 7:36 PM

কলকাতা: ভুগছেন দূরন্ত ক্যান্সারে (Cancer)। চিকিৎসার (Treatment) জন্য কলকাতায় ছুটে এসেছিলেন সেই উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে। কিন্তু মহানগরের একের পর এক হাসপাতালে রেফার হয়েও কোথাও ভর্তি হতে পারলেন না বছর ৩৬ – এর গুনাই সোরেন। কোনও হাসপাতালে ভর্তি (Hospital Admission) হতে না পেরে মহানগরে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে গুনাই ও তাঁর পরিবারের। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী। এই অবস্থায় পরিবারের কাতর আর্তি, কোথাও একটা চিকিৎসার সুযোগ মিলুক।

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের বাসিন্দা গুনাই সোরেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্ত তিনি। জেলার একের পর এক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে সবাই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এই ভাবে রায়গঞ্জ, মালদহ, বালুরঘাট জেলা হাপাতালে ঘুরেছেন তাঁরা। সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এতটা পথ পেরিয়ে কলকাতায় এসেও মিলছে না চিকিৎসা!

গত ১৬ নভেম্বর গুনাই সোরেনকে নিয়ে তাঁর পরিবার কলকাতায় আসেন। এসএসকেএম হাপাতালের আউটডোরে দেখানো হয় গুনাইকে। চিকিৎসক তাঁকে দেখার পর বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলেন। কিন্তু রোগীকে ভর্তির কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি তারপর থেকে আর কোনোও চিকিৎসাও করা হয় নি। ৮ দিন চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরের পড়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন রোগী। পরিবারের আরও অভিযোগ, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।

এর পর এসএসকেএম থেকে বাধ্য হয়ে পুলিশ হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানেও মেলেনি অ্যাডমিশন। রোগীর বাবা বাজা সোরেনের অভিযোগ, গত আটদিন শুধু রিপোর্ট করে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোথাও ভর্তি করাতে পারেননি ছেলেকে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-ও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে জানান বাজা সোরেন।

মঙ্গলবার সকালেও এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। তাঁরা জানিয়ে দেন অবিলম্বে রোগীকে ভর্তি করা প্রয়োজন। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে বেড নেই। তাই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা প্রেসক্রিপশনে লেখা হলেও সেখানে কোনও ব্যবস্থা না থাকায়, গুনাই সোরেনদের পাঠানো হয় পুলিশ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গেলে জানানো হয় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো নেই। বলা হয়, এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। একের পর এক স্থানান্তরের নির্দেশে কার্যত হাল ছেড়ে দেন রোগীর পরিবার। তাঁরা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে বসে থাকেন এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে।

এদিকে টিভি নাইন বাংলার তরফে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁরা জানান গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন, কী কারণে এই পরিস্থিতি তা জানা হচ্ছে। রোগী পরিবারের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন বলে জানান। এ নিয়ে চিকিৎসক উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভর্তি হওয়ার মতো পরিকাঠামো না থাকলে কীভাবে রোগীর অ্যাডমিশন হবে? তিনি আরও জানান, রোগী চিকিৎসা পান সেটা তো তাঁরাও চান, কিন্তু বেড না থাকলে তাঁদের করণীয় কী আছে!

আরও পড়ুন: Extra Marital: প্রেমিকের বাইকে চড়ে টাটা করলেন টুম্পা, অপমানে শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী স্বামী