নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে চায় সিবিআই, রাতেই আবেদন হাইকোর্টে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাড়ি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে মামলাটি শুনছেন বলে
কলকাতা: নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। যদিও ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্য নেতাদের জামিন খারিজ করার আবেদন করে হাইকোর্টে যাওয়া হয়নি। বরং আজ সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহ এবং অশান্তির ঘটনার কথা মাথায় রেখে এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাড়ি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে মামলাটি শুনছেন বলে খবর। ফলে একটা বিষয় আপাতত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, সদ্য জামিন পাওয়া ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আপাতত তাঁদের জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়নি। তবে মামলাটি অন্য রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
সোমবার সারাদিন একের পর এক বেনজির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। প্রথমে রাজ্যের দুই বর্তমান মন্ত্রী এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই-এর দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবস্থান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষে সিবিআই বিশেষ আদালত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে এই চার নেতার। কিন্তু এই গ্রেফতারির ফলে শহর ও রাজ্যজুড়ে যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখানে মামলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিশেষ করে নিজাম প্যালেস এলাকায় যেমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল, তার পর আর এ রাজ্যে মামলার শুনানি করতে চাইছে না সিবিআই।
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ড: অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ববি-সুব্রত-মদনরা, হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই
সেই কারণে এ বার পুরো মামলাই ভিনরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আপাতত মামলাটি শুনছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। উল্লেখ্য, এ দিন ধৃত চার নেতাকে জেল হেফাজতে চাইলেও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। এতে সিবিআই অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায়। এ বার গোটা মামলাটাই অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হল। যদিও এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিবিআই-এর আইনজীবীরা উপস্থিত রয়েছেন। জামিন পাওয়া নেতাদের কোনও আইনজীবী উপস্থিত নেই। ফলে আজ কোনও রায় আসার সিদ্ধান্ত প্রায় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: ‘টাকা তো শুভেন্দুও নিয়েছিল!’ প্রশ্ন তুললেন নারদ স্টিং অপারেশনের কাণ্ডারী