R Ahmed Dental: অধ্যক্ষের সঙ্গে বচসা ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতির, তুমুল উত্তেজনা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে

R Ahmed Dental College: অভিযোগ রয়েছে, ডেন্টাল কলেজের ছাত্রীদের যে হোস্টেল পাওয়ার কথা, সেটি নাকি অধ্যক্ষ দিচ্ছেন না। মূলত এই হোস্টেল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েই এদিন বচসার সূত্রপাত হয়।

R Ahmed Dental: অধ্যক্ষের সঙ্গে বচসা ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতির, তুমুল উত্তেজনা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে
আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে উত্তেজনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2023 | 11:20 AM

কলকাতা: কলকাতার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে (R Ahmed Dental College) তুমুল উত্তেজনা। শনিবার ডেন্টাল কলেজে এক চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন গিরির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি রাজু বিশ্বাস। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রাজু বিশ্বাসের। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সামগ্রী সরিয়ে ফেলার অভিযোগ তুলছেন তিনি। পাশাপাশি আরও অভিযোগ রয়েছে, ডেন্টাল কলেজের ছাত্রীদের যে হোস্টেল পাওয়ার কথা, সেটি নাকি তিনি দিচ্ছেন না। মূলত এই হোস্টেল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েই এদিন বচসার সূত্রপাত হয়।

জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের এই হোস্টেলের দাবিতে পরশু একটি অবস্থান বিক্ষোভও হয়েছিল। অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয়েছিল। পরে ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর শনিবার তিনি ফের ক্যাম্পাসে ফেরেন। আর এরপরই ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি রাজু বিশ্বাস। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে।

ডেন্টাল কলেজে এদিনের ঘটনায় রাজু বিশ্বাসের সঙ্গে বাদানুবাদ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন গিরি বলেন, “হস্টেল ইস্যুর বাইরে আমি অন্য কোনও বিষয়ে মন্তব্য করব না। রাজু বিশ্বাসের আমাদের কলেজের ডেন্টাল সার্জন। তিনি যা বলেছেন সে বিষয়ে আমার কোন‌ও বক্তব্য নেই। কলেজে কী হচ্ছে সে সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু বলব না।” যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজু বিশ্বাসের সঙ্গে ফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি রাজ্য ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি। ডেন্টালে তৃণমূল প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনের নেতা তিনি। আগে হস্টেলে সুপার ছিলেন।

এদিকে হোস্টেল সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে, এমন লিখিত কোন‌ও বিজ্ঞপ্তি বার হয়নি। অচলাবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বক্তব্য ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ‌র বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা ইন্টার্নশিপ শেষ করেছেন। তাঁদের হাউসস্টাফ শিপের কাউন্সিলিং মার্চে হবে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা হস্টেল না ছাড়লে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল দেওয়া যাচ্ছে না। হাউসস্টাফশিপ পেলেও এটি নন রেসিডেনসিয়াল পদ। তাই সরকারি নিয়ম মেনে তাঁদের হস্টেল দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা না হ‌ওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা গেস্ট হাউসে থাকতে পারেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁরা কোন‌ও কথা শুনতে চাইছেন না।