Madan Mitra : ‘ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা’, হোলিতে ডিজের ভূমিকায় ‘রঙিন’ মদন
Madan Mitra : শুধু মদন নয়, বসন্ত উৎসবে রঙিন মেজাজে দেখা গিয়েছে শোভন-বৈশাখীকেও।
কলকাতা : ভিড় করে আছে জনতা। সকলেরই মুখ ঢেকেছে আবিরে। রঙিন হয়েছেন তিনি নিজেও। বাজছে ঢোল, বাজছে ডিজে (DJ) বক্স। এরইমধ্যে তিনি গেয়ে উঠলেন ‘ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা।’ হোলিতে আরও রঙিন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (TMC MLA Madan Mitra)। তাঁর গলায় গান শুনে হোলির আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল মদন সমর্থকদের। ‘’কালারফুল’ মদনকে দেখে কেউ কেউ তো বলেই ফেললেন ‘ওহ লাভলি’। নিউটাউনের হোটেলে এদিন বাজালেন ঢোল। দেখা গেল ডিজের ভূমিকাতেও।
শুধু মদন নয়, বসন্ত উৎসবে রঙিন মেজাজে দেখা গিয়েছে শোভন-বৈশাখীকেও। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ লোকজনদের সঙ্গে দোলের আনন্দে সামিল হতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। গানের তালে দোলালেন কোমরও। গেয়েছে গানও। শোভন তো বলেই ফেললেন, মেজাজটাই আসল রাজা। তারপরেই দম মারো দম গানের দুকলিও গেয়েও উঠলেন। তাতেই উন্মাদনা বাড়ল সম্মিলিত জনতার মধ্যে। একইসঙ্গে সঙ্গী বৈশাখীর সামনে দোলের আবহে ভালবাসার প্রকাশও করলেন আরও একবার। বললেন, “প্রেমের উপলব্ধি যদি করতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে মেড ফর ইচ আদার। শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে উচ্চারণ করলে প্রেম কী জিনিস তা বোঝা যাবে।”
পাল্টা রঙের উৎসবে প্রেমের জোয়ারে ভাসলেও বৈশাখীও। তিনি তো বললেন, “তাঁর কাছে প্রেম হল শোভন। জীবনে ভালবাসার উপর যখন আস্থা উঠে গিয়েছিল, সেই সময় নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার একজন মানুষ আসে জীবনে, তাঁর নাম শোভন। আমার জীবনে প্রথম ও শেষ প্রেম শোভন। আমি চাই ওর ভালবাসার এই রঙটুকু নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে।” এবার মদনকে ডিজে কাম গায়কের ভূমিকায় দেখে তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।