Awas Yojona: লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই আবাসের পাওনা টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের

Awas Yojona: কেন্দ্র যেন তাড়াতাড়ি সেই টাকা বরাদ্দ করে দেয়, এই মর্মে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের সচিকে চিঠি দিল রাজ্য। ৬ মার্চ এই মর্মে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Awas Yojona: লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই আবাসের পাওনা টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের
আবাস নিয়ে কেন্দ্রকে রাজ্যের চিঠি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2023 | 4:43 PM

কলকাতা: আবাস (Awas Yojona) নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। কেন্দ্রের চিঠির এবার পাল্টা উত্তর দিল রাজ্য। পাওনা টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে রাজ্য বলল, সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের অংশের টাকা না আসায় বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত অর্থের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকে চিঠি করল রাজ্য। চিঠিতে রাজ্য উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয়ের সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই তৈরি করা হয়েছে আবাস প্লাসের চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকা। সেই মতো অনুমোদনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের অংশের টাকা না আসায় বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্র যেন তাড়াতাড়ি সেই টাকা বরাদ্দ করে দেয়, এই মর্মে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের সচিকে চিঠি দিল রাজ্য। ৬ মার্চ এই মর্মে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রক রাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীকে একটি চিঠি দিয়ে বেশ কিছু জেলায় বেনিয়মের কথা জানিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে বলে। কেন্দ্র তাদের চিঠিতে পূর্ব মেদিনীপুর, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিম্পঙ, দার্জিলিং এবং নদিয়া জেলার আবাস প্লাসের অনুমোদন নিয়ে এনএলএম বা কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলে জানায়।

চিঠিতে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দলকে উপভোক্তার ভুয়ো বাড়ি দেখানো হয়েছে, কোথাও পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কাচা রান্নাঘর দেখিয়ে বাড়ি নেই বলে নাম তোলা হয়েছে। পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় দলের কাছে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরাই। এমনকি কেন্দ্রীয় দল অভিযোগ করেছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বদলে অনেক জায়গায় বাংলা আবাস যোজনার লোগো ব্যবহার হয়েছে। কয়েকটি পুরনো বাড়ির ক্ষেত্রে এধরনের ভুল থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এবার সেই চিঠির উত্তরই এ বার পাঠাল রাজ্য। সূত্রের খবর, কেন্দ্র চিঠিতে যে যে বেনিয়মের কথা বলেছে, সেগুলি কোনওটাই পুরো সত্যি নয় বলে রাজ্য জানিয়েছে। যদিও রাজ্যের এই চিঠি পাঠানোকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “টাকা কেন্দ্রের কিংবা কোনও দল বা ব্যক্তির নয়। ওই টাকা মানুষের টাকা। যে টাকা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ করের মাধ্যমে কেন্দ্রের কোষাগারে জমা করেন। কেন্দ্রের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতীয় মাথার ওপর পাকা বাড়ির ছাদ। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, মিথ্যা কাগজ তৈরি করায় প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দেরি হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যদি রাজ্য মনে করে বিমাতৃসুলভ আচরণের শিকার হচ্ছে, তাহলে রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় দল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

অন্য়দিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সরকারই চাইছে যাতে মানুষ টাকা না পায়। রাজ্যের যে শেয়ার তা যেন দিতে না হয়। সেই টাকাটা লুঠপাট হয়ে যাচ্ছে। এই জন্যই এত চিঠিচাপাটি। প্রসঙ্গ রাজ্য কেন্দ্রের নয়। গরিব মানুষ যাতে টাকা পায়, রাজ্যকেই সুনিশ্চিত করতে হবে।”