কলকাতা : সিন্ডিকেটের বাড়বাড়ন্ত (Syndicate Clash) এবং গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল রাজারহাট এবং নিউটাউনের নাম। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল। রাজারহাট – নিউটাউন এলাকায় সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, এদের একটি গোষ্ঠী নিজেদের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অনুগামী বলে দাবি করে। অন্য একটি গোষ্ঠী আবার নিজেদের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তর অনুগামী বলে দাবি করে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ আকছাড় লেগে থাকত এলাকায়। তারপর সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে চলে যান। সেই সময় এই সিন্ডিকেটকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সব্যসাচী দত্ত পুনরায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর সিন্ডিকেটের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিষ্প্রভ। অভিযোগ রয়েছে, এক সময় নিউটাউন জুড়ে চলত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। নিম্নমানের ইমারতী সামগ্রী কিনতে হত চড়া দামে, আর সেই চড়া দাম না দিলেই সাধারণ মানুষের কপালে জুটত হুমকি, মারধর। এমনকী নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠত। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অধিক মূল্যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই চলত নির্মাণকার্য। শুধু তাই নয় রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি তৈরি করতে গেলে ইমারতী সামগ্রীর পাশাপাশি শ্রমিক নিতে হত শাসকদলের মদতপুষ্ট স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে। এমনই বেশ কিছু অভিযোগ উঠত।
স্কোয়ার ফিট হিসেবে টাকা নেওয়া হতো প্রতিটি নির্মাণকার্য থেকে। যারা অতীতে সব্যসাচী দত্তের অনুগামী বলে নিজেদের দাবি করত, যাদের সিন্ডিকেটের ওপর রাশ ছিল, সেই টুটুল গাজি, শরিফুল ইসলাম, ভজাই সর্দার, বাহার আলি, শাহ আলম, তারা এখন প্রত্যেকেই নিজেদের বর্তমান বিধায়কের অনুগামী বলে দাবি করে থাকে। এর পাশাপাশি বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অনুগামী হিসেবে নিজেদের দাবি করা হাজি বাচ্চু, হায়দার আফতাব উদ্দিন এখন অনেকটাই নিষ্প্রভ।
এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, মোটের উপর অতীতের সেই দৌরাত্ম্য এখন অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে সিন্ডিকেটের কারণে গোষ্ঠী কোন্দলও অতীতের সেই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিউ টাউন রাজারহাট এলাকাজুড়ে।
আরও পড়ুন : Kunal Ghosh: ‘দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত বাংলাই’, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের পরেও দাবি কুণালের