ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)-এর ল্যান্ডফল সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন সেটি স্থলভাগ ধরে এগোচ্ছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ডফল। কথা ছিল বেলা ১২টায় ল্যান্ডফল হওয়ার, কিন্তু আশঙ্কা বাড়িয়ে এগিয়ে এল ইয়াসের ল্যান্ডফলের সময়। ভরা কোটাল নিয়ে আগেই আশঙ্কা ছিল। তা সত্যিই করেই ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে ল্যান্ডফল হতে শুরু করে ইয়াস। বিপদ বাড়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। উত্তাল দিঘার সমুদ্র। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রামে প্লাবিত। রাতে আবার ভরা কোটালে জল বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩৪ টি বাঁধ ভেঙেছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আরও জোর দিতে হবে। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর দিতে হবে।
নদিয়া: ভরা কোটালের জেরে ভাঙন ধরল ভাগীরথীতে। বুধবার, একদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) দাপট, অন্যদিকে, ভরা কোটালের জেরে ক্রমশ জলস্তর বাড়তে থাকে নদীতে। দুপুরের পর থেকে আচমকা নদীর পাড় ধরে কৃষি জমি ও সাধারণের যাতায়াতের রাস্তাটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ভাঙনের জেরে শান্তিপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমার ঘাট এলাকার কয়েকটি বাড়িও নদীগর্ভে চলে যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: ভরা কোটালে ভাঙন ভাগীরথীতে, ‘ইয়াসের’ দাপটে ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরেই আশ্রয় খুঁজছে মানুষ
সাই্ক্লোন ইয়াস-এর (Cyclone Yaas) ল্যান্ডফল শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ রাজ্যে মূলত দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রভাব পড়েছে সেই ঝড়ের। তবে বিপদ এখনও শেষ হয়নি। ফের একবার সেই বিষয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ‘হাই টাইড’-এর সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরে যে বান আসবে, তাতে জলস্তর ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হবে। সেই জলস্তর দু’দিন ধরে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একজনের মৃত্যুর খবরও জানিয়েছেন মমতা। তবে সেটা ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ’ বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে্ উল্লেখ করেছেন তিনি। সার্বিক হিসেব দিয়ে মমতা জানান, ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আগামী শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি মানুষ, শুক্রবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী
১৩৪ টি বাঁধ ভেঙেছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আরও জোর দিতে হবে। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর দিতে হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ল্যান্ডফল শেষ হল ইয়াসের। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি বিধ্বস্ত। রাত ৯টার কোটাল ভয় ধরাচ্ছে আরও।
রামনগরে পরিস্থিতি খারাপ। জলমগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার আটকে পড়ার আশঙ্কা। উদ্ধারকার্যে নামল সেনা। বোট নিয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে যাচ্ছেন সেনাকর্মীরা।
সকাল ৯টায় ল্যান্ডফল শুরু হয়েছে ধামরায়। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Yaas) আউটার ওয়াল যখন কোস্টে ঢোকা শুরু করেছিল, তখন থেকেই উত্তাল সমুদ্র-সাগর। সাড়ে ১০টা নাগাদ মৌসম ভবন আপডেট দেয়, ঘূর্ণিঝড়ের আই স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করেছে। এটাকেই মূলত ঘূর্ণিঝড়কে স্থলভাগে আছড়ে পড়া বলা হয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ধামরা থেকে বালাসোরের মাঝে ইয়াসের তাণ্ডব চলতে থাকবে। পরবর্তীকালে তা পশ্চিমের দিকে এগোবে। এরপরই ঘূর্ণিঝড় আস্তে আস্তে শক্তি হারাবে। রাতে ওড়িশার দিকে এগোতে এগোতে ঘূর্ণিঝড় এক দফা শক্তি কমাতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় যখন চক্রধরপুর, চাইবাসার কাছে পৌঁছাচ্ছে, তখনও তার শক্তি থাকছে। ফলে বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়ো হাওয়া বইবে, বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: সন্ধ্যায় চন্দ্রগ্রহণ, রাত ৯টায় ফের কোটাল! পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দিঘা-সাগরে
ইয়াসের (Cyclone Yaas) ল্যান্ডফল হয়েছে ইতিমধ্যেই। কলকাতার একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সকালেই শহরের কোনও কোনও জায়গায় টর্নেডো হতে পারে বলে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছে দুপুর ১২ টার আশেপাশে স্থানীয়ভাবে সেই টর্নেডো হতে পারে। শহরবাসীকে ওই সময় বাড়ি থেকে না বেরনোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: কলকাতায় হতে পারে টর্নেডো, বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করলেন মমতা
বসিরহাটে নামল সেনা। বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ সহ একাধিক এলাকায় অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য ৬৫ জনের জওয়ান (১কলম) সহ তিন আধিকারিক বসিরহাটে মোতায়েন করা হল।
অনেকেই ভাবছে থেমে গিয়েছে। কিন্তু এখনও শুরুই হয়নি। ইয়াসের ল্যান্ডফলের পরই সাধারণ মানুষকে এই ভাষায় সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাতভর নবান্নে থেকে গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন মমতা। একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘এখনও তো শুরুই হয়নি’, ল্যান্ডফলের পরই সতর্ক করলেন মমতা
মৌসম ভবন সূত্রে খবর,ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে ইয়াসের। সকাল ৯টাতেই ধামরায় ল্যান্ডফল শুরু হল ইয়াসের। কথা ছিল বেলা ১২টায় ল্যান্ডফল হওয়ার, কিন্তু আশঙ্কা বাড়িয়ে এগিয়ে এল ইয়াসের ল্যান্ডফলের সময়। ভরা কোটাল নিয়ে আগেই আশঙ্কা ছিল। তা সত্যিই করেই ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে ল্যান্ডফল হতে শুরু করেছে ইয়াস। বিপদ বাড়ল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। উত্তাল দিঘার সমুদ্র।
VERY SEVERE CYCLONIC STORM YAAS CENTRED ABOUT 50 KM SOUTH-SOUTHEAST OF BALASORE.LANDFALL PROCESS HAS COMMENCED AROUND 0900 HRS IST. pic.twitter.com/esPuoaECL0
— India Meteorological Department (@Indiametdept) May 26, 2021
ইয়াস সতর্কতায় বন্ধ কলকাতার একাধিক উড়ালপুল। এজিসি বোস রোড, মা ফ্লাইওভার, চিংড়িহাটা, তারাতলা, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেলাশাসকদের সতর্ক করেছে নবান্ন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। রাতভর খোলা পুরসভার কন্ট্রোল রুম।
এগিয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ইয়াস (Cyclone Yaas)। দিঘা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ইয়াস। পারাদ্বীপ থেকে দূরত্ব ৯০ কিমি। ধামরা থেকে ৬০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ইয়াস। দুপুর ১২টা নাগাদ ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে ল্যান্ডফল করবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার।
বিস্তারিত পড়ুন: দিঘা থেকে ইয়াসের দূরত্ব কমে ৮০ কিমি! ঠিক ক’টায় ল্যান্ডফল, স্পষ্ট করল মৌসম ভবন
ঘূর্ণিঝড়, সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা-ব্লাড মুন, তার ওপর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ-ত্রহ্য স্পর্শে আজকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) শক্তি প্রদর্শনের দিন। পৃথিবীর কাছাকাছি আজ লাল বড় চাঁদ। রাজ্য থেকে দেখা যাবে আংশিক। আর কয়েক ঘণ্টা। তার পরই ইয়াসের ল্যান্ডফল। আপাতত তারই ঝাপটায় তটস্থ উপকূল। ১৩০-১৪০ কিলোমিটার বেগে ছোবলের আশঙ্কা।
বিস্তারিত পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমা-ব্লাড মুন-ভরা কোটাল সঙ্গে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ- ত্রহ্যস্পর্শে আজই ইয়াসের শক্তি প্রদর্শন
ভিমবেগে ধেয়ে আসছে ইয়াস। সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, দিঘা (Digha) থেকে ইয়াসের (Cyclone Yaas) দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ধামরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বালাসোর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ইয়াস। ল্যান্ডফলের স্থলে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। কলকাতায় এই মুহূর্তে ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া বইছে।
ইতিমধ্যেই জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা। ১১টার পর পূর্ব মেদিনীপুরে কাজ করবে সেনাবাহিনী। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ইয়াসের ল্যান্ডফল শুরু।